সালাউদ্দিন মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র।
কিশোরের আধপোড়া দেহ উদ্ধার হল পাইকর থানা এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে গ্রাম ঢোকার মুখে পাগলা নদীর ধারে রাস্তা থেকে এক কিলোমিটার দূরে ধানজমি থেকে ওই দেহ মেলে। গ্রামবাসী ও আত্মীয়েরা জানান, রবিবার বিকেল থেকে একই থানার পাটাগাছি গ্রাম থেকে নিখোঁজ ছিল এক কিশোর। নাম সালাউদ্দিন মণ্ডল। ইদরাকপুর হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র। সোমবার পাইকর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে।
অজ্ঞাতপরিচয় দেহ উদ্ধারের কথা শুনে বুধবার সকালে সালাউদ্দিনের বাবা, মা আত্মীয়েরা পাইকর থানায় খোঁজ নিতে গেলে পুলিশ দেহ শনাক্ত করার জন্য রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে যেতে বলেন। সেই মতো মর্গে গিয়ে দেহ শনাক্ত করেন। পেটের উপর থেকে মাথা পোড়া অবস্থায় ছিল বলে পরিবারের সদস্যদের দাবি। কী দেখে শনাক্ত করলেন, জবাবে মা নাসিমা বিবি বলেন, ‘‘এই বর্ষায় ধান কাটতে গিয়ে মেশিনে ছেলের বাঁ হাতের একটি আঙুল কেটে গিয়েছিল। সেই চিহ্ন ছিল। বাঁ হাতে সুতোও বাঁধা ছিল। এক ছিল পোশাকও।’’ ময়না-তদন্তের পরে বুধবার বিকেলে দিকে পুলিশ দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেয়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেলে স্কুটি নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। সন্ধ্যার পরেও বাড়ি না ফেরায় সালাউদ্দিনের বাবা তাকে ফোন করে। সালাউদ্দিন ফোন ধরে জানায়, মুরারই থানার ঘুসকিরা গ্রামে খেলতে গিয়েছে। তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরবে। পরিবারের সদস্যরা আর যোগাযোগ করতে পারেননি। পরিবারের সদস্যরা, পাইকর থানায় খুনের অভিযোগ করবেন বলে দাবি করেছেন। পাইকর পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
মৃতের বাবা আব্দুল হালিম মণ্ডল বলেন, ‘‘ছেলেকে কেন খুন করা হল জানি না। নৃশংস ভাবে মারা হয়েছে। দোষীর শাস্তি চাই।’’ গ্রামের বাসিন্দা সামিস হোসেন বলেন, ‘‘সালাউদ্দিন শান্ত ও হাসিখুশি ছেলে ছিল। পরিবারের বড় ছেলে। দুই বোন আছে। এই বয়সে কে বা কারা খুন করল পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy