চুরির পরে ঘরের হাল। লাভপুরে। নিজস্ব চিত্র।
সকালে বাড়ির লোক বাইরে গেলেন অন্নপ্রাশনের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বাড়িতে হানা দিল চোরের দল! দুপুরেই কাজ হাসিল করে চম্পট দিল তারা।
লাভপুর বিরামমন্দিরপল্লির এই ঘটনা ঘিরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সকালে যে ওই পরিবারের সদস্যেরা বাইরে যাবেন, সে খবর কি আগে থেকেই ছিল দুষ্কৃতীদের কাছে? এমনটা চিন্তা করেই আরও আতঙ্কে আছেন এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ বাড়ির দরজায় তালা দিয়ে গৃহকর্তা হেমন্ত লাহা সপরিবার মুর্শিদাবাদের কীর্তিপুরে একটি অন্নপ্রাশনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান। সেই সুযোগে দুষ্কৃতীরা চিলেকোঠার দরজার তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে দু’টি আলমারি ভেঙে বেশ কিছু টাকা ও সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ।
পাশেই থাকেন হেমন্তর ভাগ্নে অরবিন্দ দাঁ। তিনি বলেন, ‘‘ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। সাড়ে ১২টা নাগাদ বাড়ির মহিলারা মামার বাড়িতে ভাঙাভাঙির শব্দ পেয়ে চিৎকার করতে শুরু করেন। তখন ভয় পেয়ে ওরা মোটরবাইক নিয়ে চম্পট দেয়।’’ তিনি জানান, প্রতিবেশীদের কাছে শুনেছেন, চোরেরা দলে তিন জন ছিল। এক জন ভিতরে ঢোকে। দু'জন বাইরে পাহারায় ছিল। তাদের আচরণে কোনও অস্বাভাবিকতা না-থাকায় পাড়ার কারও সন্দেহ হয়নি। চুরির খবর পেয়ে অন্নপ্রাশনের অনুষ্ঠান ফেলে দুপুর আড়াইটে নাগাদ বাড়ি ফিরে এসেছেন হেমন্ত লাহা। তাঁর কথায়, ‘‘এর আগেও বাড়িতে তালা দিয়ে অনেক জায়গায় গিয়েছি। যে দিন সকালে বেরোলাম, সে দিন দুপুরেই চুরি হবে, এমনটা কখনও এমনটা ভাবতে পারিনি।’’
প্রসঙ্গত, গত ২৪ জুন পরিবারের লোকেদের অনুপস্থিতির সুযোগে কীর্ণাহারের হাইস্কুল মোড়ের একটি বাড়ি থেকেও আলমারি ভেঙে নগদ টাকা এবং সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। তার কিছুদিন আগে কীর্ণাহারেরই মাস্টারপাড়ার একটি বাড়ি থেকে সদস্যদের অনুপস্থিতির সুযোগে নগদ টাকা এবং গয়না চুরি যায়। দু’টি ক্ষেত্রেই পুলিশ চুরির কিনারা করতে পারেনি। লাভপুরের ঘটনাতেও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy