স্নায়ুতন্ত্রকে সামলে রাখার ব্যাপারে ভিটামিন বি১২-এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ, তা মানেন চিকিৎসকেরা। বিশেষ করে অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে যখন শরীরে স্নায়ুজনিত নানারকম ব্যথা দেখা দিতে শুরু করে, তখন ভিটামিন বি১২ খাওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয় চিকিৎসকদের তরফে। এ ছা়ড়াও ভিটামিন বি১২ লোহিত রক্তকণিকার উৎপাদনেও সাহয্য করে, যা রক্তে হিমগ্লোবিনের পরিমাণ ঠিক রাখে। দূরে রাখে সংক্রমণ এবং ব্যাকটেরিয়াকে। তাই রোজের খাবারে ভিটামিন বি১২ থাকা জরুরি।
ভিটামিন বি ১২ মূলত পাওয়া যায় প্রাণীজ প্রোটিন থেকে। মাংসের মেটে, নোনতা জলের মাছ, পাঁঠার মাংস, ডিম, তৈলাক্ত মাছে ভিটামিন বি১২ মজুত থাকে। কিন্তু যাঁরা মাছ-মাংস খান না বা যাঁরা নিরামিষাশী তাঁরা কোথা থেকে ভিটামিন বি১২ পাবেন। চিকিৎসকেরা বলছেন, নিরামিষাশীদের জন্যও ভিটামিন বি১২ পাওয়ার অনেক উৎস রয়েছে।

ছবি: সংগৃহীত।
দুধ: ভিটামিন বি১২-এর ভাল উৎস হল দুধ। সহজে পাওয়াও যায়। গরুর দুধে তো বি১২ থাকেই। তার পাশাপাশিই আমন্ড মিল্ক, সয়া মিল্ক, নারকেলের দুধের মতা উদ্ভিজ দুধেও ওই ভিটামিন পাওয়া যায়। তাই কেউ যদি ল্যাকটোজ় ইনটলারেন্ট হন অর্থাৎ গরুর দুধ খেতে না পারেন, তবে তাঁরা উদ্ভিজ দুধ খেতে পারেন।
চিজ়: সেডার, মোজ়ারেলা এবং সুইস চিজ় এখন যেকোনও বড় দোকানেই পাওয়া যায়। শহরে তো বটেই শহরতলিতেও সুলভ। রোজের খাবারে সামান্য চিজ় রাখা যেতেই পারে। কতটা চিজ় খাবেন, তা শরীর বুঝে চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে পারেন।

ছবি: সংগৃহীত।
দই: দই পেট ভাল রাখে, দই প্রোবায়োটিক—অনেকেই জানেন। কিন্তু দই যে ভিটামিন বি১২-এ ঠাসা তা জানেন কি? দুধ দিয়ে বাড়িতে পাতা সবচেয়ে কম খরচের দই নিয়মিত খেলে তা শরীরের বি১২ ঘাটতি অনেকটাই পূরণ করবে। তবে মিষ্টি দই এড়িয়ে চলাই ভাল।
পনির: নিরামিষাশী হলে পনির নিশ্চয়ই আপনার পছন্দের খাবার। অনেক আমিষভোজীর কাছেও পনির লোভনীয়। সেই পনিরও ভিটামিন বি১২-এর উৎস।

ছবি: সংগৃহীত।
মাশরুম: হোটেলে রেস্তরাঁয় চাইনিজ় এবং ভারতীয় রেসিপিতে মাশরুম খাওয়া হয়েই থাকে। সেই মাশরুমেও আছে ভিটামিন বি১২। বিশেষ করে শিটেক মাশরুমে ওই ভিটামিনের পরিমাণ অনেকটাই বেশি।