Advertisement
২০ নভেম্বর ২০২৪
Bratya Basu

ব্রাত্যর টেট-খোঁচা বিজেপিকে

প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের দু’দিনের শিক্ষকদের অভিযোজন শিবিরের উদ্বোধনে বুধবার বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে আসেন শিক্ষামন্ত্রী।

স্কুলে ব্রাত্য বসু। নিজস্ব চিত্র

স্কুলে ব্রাত্য বসু। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২৩ ০৬:১২
Share: Save:

স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কলকাতা হাই কের্টের নানা রায় ও পর্যবেক্ষণে মাঝেমধ্যেই ‘বিড়ম্বনায়’ পড়তে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। রোজই নিয়ম করে সরকার, তৃণমূল ও শিক্ষা দফতরকে বিঁধছে বিরোধীরা। এই প্রেক্ষিতে শিক্ষক নিয়োগে গুজরাত-উত্তরপ্রদেশ সরকারের ভূমিকার প্রসঙ্গ তুলে বিজেপিকে পাল্টা কটাক্ষ করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। উন্নয়ন নিয়ে ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকারের কথা বলে দিলেন পাল্টা খোঁচাও।

প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের দু’দিনের শিক্ষকদের অভিযোজন শিবিরের উদ্বোধনে বুধবার বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে আসেন শিক্ষামন্ত্রী। অনুষ্ঠানে তিনি দাবি করেন, চলতি বছরে স্বচ্ছতার সঙ্গে সুষ্ঠু ভাবে টেট নিতে সফল হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তার পরেই নাম না করে বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘‘গুজরাত সরকার চারবার এই পরীক্ষা নিতে গিয়েও পারেনি। উত্তরপ্রদেশ সরকার বুঝেই উঠতে পারছে না, কী ভাবে এই পরীক্ষা নেবে।” ওই দুই রাজ্যেই শাসন ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। পরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “যাঁরা বলেন, ডবল ইঞ্জিন সরকার হলে উন্নয়ন হয়, তাঁদের কাছে এই ঘটনাই দৃষ্টান্ত। গুজরাত ও উত্তরপ্রদেশে ডবল ইঞ্জিন সরকার টেট নিতে পারছে না।”

কলেজে নয়া শিক্ষানীতি চালু নিয়েও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে এক হাত নেন ব্রাত্য। তিনি বলেন, “এটা চালু করতে গেলে কেন্দ্রীয় সরকার ও ইউজিসি’র থেকে প্রচুর টাকা দরকার। ইউজিসি টাকার ব্যাপারে কিছু উচ্চবাচ্য করছে না। নানা রকম নিময় কানুন চাপাচ্ছে।”

বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার তীর্যক মন্তব্য, “এ রাজ্যে কী ভাবে টেট হয়েছে, তা মানুষ জেনে গিয়েছেন। যাঁরা ফাঁকা উত্তরপত্র জমা দিয়েছেন, তাঁরাই চাকরি পেয়েছেন। যোগ্য চাকরিপ্রার্থী ও মেধাবীরা বাদ পড়েছেন। আদালত তদন্ত করে ওই সব চাকরি বাতিল করছে। এর পরেও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী টেটে সাফল্যের কথা বলছেন। এটা হাস্যকর।”

এ দিন বাঁকুড়া টাউন উচ্চবিদ্যালয় পরিদর্শন করেন শিক্ষামন্ত্রী। ওই সময় স্কুলে পরীক্ষা চলছিল। পড়ুয়াদের সঙ্গে দুয়েকটি কথা বলে চলে যান প্রধান শিক্ষকের কাছে। ঘুরে দেখেন স্কুলের মিড-ডে মিলের রান্নাঘর। জানতে চান, কী খাবার পড়ুয়াদের দেওয়া হয়। শিক্ষামন্ত্রীর কাছে স্কুলের কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরেন প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ পাইন। মন্ত্রীকে তিনি জানান, স্কুলে কর্মীর অভাব রয়েছে। শ্রেণিকক্ষের সংখ্যাও কম। মন্ত্রী বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বলে দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষের।

মন্ত্রী বলেন, “স্কুলের পরিকাঠামো এবং সুবিধা-অসুবিধার খোঁজ নিলাম। মিড-ডে মিল নিয়েও সবিস্তারে জানলাম।” প্রধান শিক্ষক বলেন, “শিক্ষামন্ত্রীকে কাছে পেয়ে আমরা খুব খুশি। স্কুলের সমস্যার কথা উনি শুনেছেন।” এ দিন বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা কর্মসূচিতেও যোগ দেন শিক্ষামন্ত্রী।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy