Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Blood samples

ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে রক্ত কেউ ফেলে দিল রাস্তায়

দুই ইউনিট ‘ও’ পজ়িটিভ রক্তের পাউচের নম্বর বোলপুর হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ককে জানানো হয় আন্দবাজারের তরফে। ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে বলা হয়, ওই দুই প্যাকেট রক্ত বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকা এক রোগীর জন্য বৃহস্পতিবার বোলপুর ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে  এক ব্যক্তি সংগ্রহ করেছিলেন।

নষ্ট: রাস্তায় পড়ে রক্তের প্যাকেট। নিজস্ব চিত্র।

নষ্ট: রাস্তায় পড়ে রক্তের প্যাকেট। নিজস্ব চিত্র।

বাসুদেব ঘোষ 
বোলপুর শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২০ ০২:৩৫
Share: Save:

করোনা পরিস্থিতির কারণে সেভাবে শিবির না হওয়ায় রক্তের সঙ্কট চারদিকে। সরকারি হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কেও পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্তের জোগান সব সময় থাকছে না। এই অবস্থায় বোলপুর শহরে শনিবার রাস্তায় পড়ে নষ্ট হতে দেখা গেল দু’প্যাকেট রক্ত।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো এ দিনও সকালে প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে কালিকাপুর কলোনির বাসিন্দা শঙ্কর বিশ্বাস দেখতে পান, বোলপুরের শালবাগান থেকে মোল্লাডাঙা যাওয়ার রাস্তার পাশে দু’টি ‘ও’ পজ়িটিভ রক্তের প্যাকেট পড়ে রয়েছে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওই রক্তের প্যাকেট দু’টি চাপা দিয়ে চলে যায় একটি গাড়ি। যে রক্ত কোনও মুমূর্ষু রোগীর কাজে লাগতে পারত, তা এ ভাবে মাটিতে পড়ে থেকে নষ্ট হাওয়াই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

ওই দুই ইউনিট ‘ও’ পজ়িটিভ রক্তের পাউচের নম্বর বোলপুর হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ককে জানানো হয় আন্দবাজারের তরফে। ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে বলা হয়, ওই দুই প্যাকেট রক্ত বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকা এক রোগীর জন্য বৃহস্পতিবার বোলপুর ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে এক ব্যক্তি সংগ্রহ করেছিলেন। তিনি কেন সেই রক্ত রাস্তায় ফেলে দিলেন, তা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে স্পষ্ট নয়। বোলপুর হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসক তীর্থঙ্কর চন্দ্র বলেন, ‘‘রক্ত নিয়ে যেখানে হাহাকার চলছে, সেখানে এই ধরনের কাজ একেবারেই উচিত হয়নি।’’ ভলান্টিয়ার ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক নুরুল হকের কথায়, ‘‘এক শ্রেণির রক্তের দালালরা মূলত এই ধরনের কাজ করে থাকে এবং কোনও কারণে রোগীর পরিবারের সঙ্গে রক্তের দামে রফা না হলে, তারা তা ফেলে দেয়। এর সজাগ থাকা উচিত।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Blood sample Bolpur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE