বিজেপির অবরোধ। নিজস্ব চিত্র
পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপর ‘হামলা’-র প্রতিবাদে মঙ্গলবার সিউড়িতে আধ ঘণ্টার প্রতীকী পথ অবরোধ করেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। এ দিন দুপুর ১টা ৪০ মিনিট থেকে সিউড়ির চৈতালি মোড়ে ওই কর্মসূচি পালন করে বিজেপির যুব মোর্চা। উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়, জেলা সাধারণ সম্পাদক কালোসোনা মণ্ডল-সহ অন্যেরা। শহরের ব্যস্ত রাস্তায় অবরোধে কিছুটা যানজট হলেও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল। রামপুরহাট, সাঁইথিয়াতে পথ অবরোধ হয়।
সোমবার কাঁথিতে দলীয় কর্মীদের প্রশিক্ষণ শিবিরে গিয়ে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি হামলার মুখে পড়েন বলে অভিযোগ। দিলীপবাবু অক্ষত থাকলেও তাঁর গাড়ি ভাঙচুর হয়। তিন বিজেপি কর্মী জখম হন। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজনই ওই দিন হামলা চালিয়েছে। ঘটনার নিন্দায় রাজ্যের প্রতিটি জেলায় পথ অবরোধ করে প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপি। সিউড়িও ছিল সেই তালিকায়। তৃণমূলকে এক হাত নিয়ে এ দিন সিউড়িতে দলের নেতাদের হুঁশিয়ারি, রাজ্য সভাপতির উপরে হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, প্রতিরোধ চলবে। লকেট দাবি করেন, ‘‘গণতন্ত্র বিপন্ন। পুলিশের সামনেই তাই ওই হামলা হয়েছে। শাসকদল এমন আচরণ যত করবে, বিজেপি তত সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এগোবে। ২০১৯ সালেই সেটা টের পাবে শাসকদল।’’ বক্তৃতায় লকেট বীরভূম জেলায়
মেয়েদের, বিশেষ করে আদিবাসী মহিলাদের উপরে যৌন নির্যাতনের প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূল সরকার ও প্রশাসনকে কটাক্ষ করেন।
শনিবার রাতে সিউড়ি থানায় আদিবাসী জনজাতির এক কলেজছাত্রী ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ, শনিবার বিকেলে বাড়ির কাছে তিনি জঙ্গলে গরু চরাতে গিয়েছিলেন। হঠাৎ বৃষ্টি নামায় গাছের নীচে দাঁড়িয়েছিলেন। তখনই এলাকার এক যুবক জোর করে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে। অভিযুক্তকে পুলিশ ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে। এ দিন সিউড়িতে কর্মসূচি সেরে নির্যাতিত ছাত্রীর বাড়ি যান লকেট। আশ্বাস দেন পাশে থাকার।
অন্য দিকে, মঙ্গলবার দুপুরে বিজেপি কর্মীরা রামপুরহাট কামারপট্টি মোড় সংলগ্ন দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল করে রামপুরহাট পাঁচমাথা মোড়ে কর্মীদের নিয়ে জমায়েত করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy