বাঁ দিকে বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা এবং ডান দিকে বিডিও অঞ্জন চৌধুরী। — ফাইল চিত্র।
আবাস যোজনার তালিকায় স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে দিন কয়েক আগে বিডিও-কে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা। সেই ঘটনার পর তিন দিন যেতে না যেতেই সোমবার বিডিওর দফতরে হাজির হয়ে নিজের ‘ভুল স্বীকার’ করে নিলেন তিনি। এমনই দাবি করেছেন বাঁকুড়া-১ ব্লকের বিডিও। যদিও বিষয়টি স্বীকার করেননি বিজেপি বিধায়ক। তাঁর দাবি, নানা সরকারি প্রকল্প নিয়ে কথা বলতেই তিনি বিডিওর কাছে গিয়েছিলেন। এ নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে নিজের দেহরক্ষীকে নিয়ে স্কুটারে বাঁকুড়া-১ ব্লকের বিডিও অঞ্জন চৌধুরীর দফতরে যান বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর। বিডিওর দফতরে ঢুকে তিনি ‘ভুল স্বীকার’ করে নেন বলেও ওই সূত্রটির দাবি। বিডিও পরে বলেন, ‘‘বিধায়ক আজ আমার কাছে এসেছিলেন। সে দিনের বাগবিতণ্ডার জন্য তিনি অনুতপ্ত বলে জানিয়েছেন। ওঁর দাবি, অনেক ধরনের অভিযোগ পেয়ে তিনি এমন আচরণ করে ফেলেছিলেন। আমরা নির্ভুল ভাবে সরকারি নিয়ম মেনে কাজ করার চেষ্টা করছি। চিৎকার চেঁচামেচি করে কাজ হয় না। বিধায়ক সম্ভবত নিজেই বুঝতে পেরেছেন, তাঁর সে দিনের ব্যবহার ঠিক হয়নি।’’
যদিও বিডিওর ওই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘‘আমি ক্ষমা চাইতে বিডিওর কাছে যাইনি। ক্ষমা চাইব কেন? আমি একটু জোরে কথা বলি। এটা আমার অভ্যাস। সে দিনও মানুষের দাবি নিয়ে আমি বিডিওর সঙ্গে সাধারণ ভাবেই কথা বলেছি। তার ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। অনেকগুলি প্রকল্প নিয়ে কথা বলার প্রয়োজন ছিল। তাই আজ আমি বিডিওর কাছে গিয়েছিলাম।’’
গত শুক্রবার আবাস যোজনার উপভোক্তাদের তালিকায় স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে বাঁকুড়া-১ ব্লকের বিডিও অফিসে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। ওই কর্মসূচিতে ছিলেন নীলাদ্রিশেখর। বিক্ষোভের মাঝেই বিডিওর ঘরে যান নীলাদ্রি। সেই সময় বিডিওর দিকে আঙুল উঁচিয়ে থাকা বিধায়ককে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমাদের দলের লোকজন ঘর পাচ্ছে না। আমাদের দলের লোকদের নাম এলে সেগুলি কেটে দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা এ সব করছে, তাঁদের আপনি বলবেন, আপনাকে তৃণমূলের দফতরে বসাতে, না হলে আপনি চাকরি ছেড়ে দেন।’’ বিজেপি বিধায়কের এই বক্তব্য সামনে আসার পরই শুরু হয় সমালোচনা।
তৃণমূল পরিচালিত বাঁকুড়া জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘বিধায়ক নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন। এই ঘটনাই প্রমাণ করে দেরিতে হলেও বিধায়কের বোধোদয় ঘটেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy