বুধবার রাতে বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চার সম্পাদক বিকাশ ঘোড়ুইকে গ্রেফতার করে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।
আগ্নেয়াস্ত্র হাতে বালি খাদানে গিয়ে মালিককে হুমকি, কর্মীদের মারধর এবং যন্ত্রপাতি ভাঙচুরের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল বিজেপি বিধায়কের ঘনিষ্ঠ এক যুব নেতাকে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার ইন্দাসে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম বিকাশ ঘোড়ুই। তাঁকে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
ইন্দাস ব্লকের একটি বালি ঘাটের মালিক কাজল কুমার ঘোষ ইন্দাস থানায় যুব বিজেপি নেতা বিকাশ ঘোড়ুই-সহ তাঁর কয়েক জন সহযোগীর নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাতে তাঁর অভিযোগ, ‘‘প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে বালি খাদানে রাস্তা নির্মাণের কাজ করা হচ্ছিল। ৩০ মে রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ আচমকা বিকাশ ঘোড়ুই-সহ কয়েক জন যুবক বালি ঘাটে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে হামলা চালান। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে মালিককে হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি, কর্মীদের মারধর করা হয়। বালি তোলার যন্ত্র ভাঙচুর করা হয়।’’
পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিকাশ ঘোড়ুইকে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার ধৃতকে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ। বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতের সরকারি আইনজীবী ইন্দ্রনারায়ণ বিশ্বাস বলেন, ‘‘ধৃতের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। তাঁকে পাঁচ দিন নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল পুলিশ। আদালত ধৃতকে চার দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।’’
বিজেপি সূত্রে খবর, ধৃত বিকাশ বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চার সম্পাদক পদে রয়েছেন। কোতুলপুরের বিজেপি বিধায়ক হরকালী প্রতিহারের তিনি অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। এই গ্রেফতারি প্রসঙ্গে হরকালী বলেন, ‘‘বিকাশ অত্যন্ত ভালো সংগঠক। ইন্দাস এবং কোতুলপুর বিধানসভা এলাকায় বিকাশ সংগঠন শক্তিশালী করার কাজ চালাচ্ছিলেন। তাই আক্রোশবশত তৃণমূলের অঙ্গুলিহেলনে পুলিশ বিকাশকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়েছে।’’
বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিল্লেশ্বর সিংহ বলেন, ‘‘অবৈধ বালি চুরির প্রতিবাদে বিজেপি সর্বত্র আন্দোলন সংগঠিত করছে। আর তাতেই আতঙ্কিত হয়ে তৃণমূল আমাদের নেতা এবং কর্মীদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসাচ্ছে। আদালতে আমরা এই ঘটনার যেমন আইনি মোকাবিলা করব, তেমনই রাজনৈতিক ভাবেও এর মোকাবিলা করব।’’
যদিও সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে শাসকদল। তৃণমূলের ইন্দাস ব্লক সভাপতি শেখ হামিদ এই ঘটনায় বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘‘এর আগেও কোতুলপুরের বিধায়কের ঘনিষ্ঠ ওই যুব নেতার বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে ঘোরাফেরা করার অভিযোগ ছিল। পুলিশের আগেই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। এখন বালি ঘাটে বিধায়কের নামে তোলাবাজি করতে গিয়ে সে ধরা পড়েছে। এই ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকা, তোলাবাজি করা এবং অস্ত্র হাতে ঘুরে বেড়ানো বিজেপির সংস্কৃতির মধ্যেই পড়ে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy