—প্রতীকী ছবি
শুধু রাজ্যের শাসক দল নয়, ‘বিবেক-বাণী’ নিয়ে ঝাঁপাতে তৈরি বিজেপি-ও। আজ, শুক্রবার যুব দিবসে রাজ্য জুড়ে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তী উদ্যাপন করবে বিজেপি। বীরভূম জেলাও ব্যতিক্রম নয়।
জেলার প্রতি ব্লকে বিবেকানন্দ জন্মজয়ন্তী পালন করবে তৃণমূল। আড়ম্বর অন্যবারের থেকে যথেষ্টই বেশি। অন্য দিকে, বিজেপি সূত্রে খবর, জেলার প্রতিটি মণ্ডলে বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তী ধুমধামের সঙ্গে পালনের দায়িত্বে থাকছে যুব মোর্চা ও তফসিলি মোর্চা। প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, প্রভাতফেরি, বিবেকান্দের ছবি ও বাণী নিয়ে ট্যাবলো থেকে শুরু করে বাইক র্যালি থাকবেই। পাশাপাশি, কোনও মঠ, মিশন বা মন্দিরে গিয়ে পরিচ্ছন্নতা অভিযান-সহ একগুচ্ছ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। বিবেকানন্দ-জয়ন্তীর মাধ্যমে যুব সমাজকে বার্তা দেওয়ার কৌশল নিয়েছে গেরুয়া শিবির। বিজেপি সূত্রে বলা হচ্ছে, জেলায় বিবেক-জয়ন্তী পালিত হবে দলীয় পতাকা ছাড়াই। বিজেপি-র জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলছেন, ‘‘দলের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালিত হবে।’’
রামনবমী, হনুমান জয়ন্তী কিংবা রথযাত্রা— বিজেপি-তৃণমূল কেউ কাউকে জমি ছাড়তে নারাজ। বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে সেটা আরও বেশি করে প্রতিফলিত হচ্ছে বিবেকানন্দ এবং নেতাজির জন্মজয়ন্তীকে সামনে রেখে। বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডা থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ— সকলেই রাজ্য সফরে এসে রবীন্দ্র-ঐতিহ্যের কথা বড় করে তুলে ধরেছেন। বিবেকানন্দের জন্মভিটেয় গিয়ে মূর্তিতে মালা দিয়েছেন। কিন্তু সেই সে-সব করতে গিয়ে তাঁদের কিছু মন্তব্য ঘিরে বিতর্কও দানা বেঁধেছে।
সে-সব নিয়ে বিজেপি-কে আক্রমণ করেছে তৃণমূল। দলের বীরভূম জেলা সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিংহের কটাক্ষ, ‘‘ওরা রবীন্দ্রনাথের জন্মস্থান কোথায় জানে না। কোথায় চৈতন্য মহাপ্রভু দীক্ষা নিয়েছেন, জানে না। নতুন করে বাংলার মনীষীদের চেনার শখ হয়েছে, ভাল কথা।’’ একই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমরা জন্মলগ্ন থেকেই মনীষীদের জন্মজয়ন্তী পালন করে বড় হয়েছি। একটা কথা বলব, অনেক দেরিতে শুরু হয়েছে। এ সব করে লাভ কিছু হবে না।’’
তৃণমূলের এই অভিযোগ মানতে নারাজ বিজেপি-র জেলা যুব মোর্চার সভাপতি শান্তনু মণ্ডল। তাঁর বক্তব্য, নেতাজি বা বিবেকানন্দ কারও একার নন, সমগ্র দেশের। তাঁদের কুক্ষিগত করার অধিকার কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দলের উপরে দেওয়া নেই। শান্তনুর কথায়, ‘‘বিজেপি বহু কাল থেকে বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তী পালন করে আসছে। আগে সংগঠন দুর্বল ছিল। ফলে, আয়োজন কম ছিল। এখন সংগঠন বেড়েছে বলে তাই মণ্ডল স্তরেও আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে। আগামীতে সেটা বুথ স্তরে নামবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy