গ্রামছাড়া করে বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ। — নিজস্ব চিত্র।
বিজেপিকে সমর্থন করার ‘অপরাধে’ এক ব্যক্তিকে চুরির অপবাদ দিয়ে গ্রামছাড়া করার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ওই ব্যক্তির বাড়িও ভাঙচুর করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের ইলামবাজারের পারুই থানার মাখড়া গ্রামে।
ইলামবাজারের মাখড়া গ্রামের বাসিন্দা জিয়ার আলি। তিনি বিজেপির কর্মী বলে এলাকায় পরিচিত। অভিযোগ, রবিবার সকালে তাঁকে বিজেপি করার ‘অপরাধে’ চোর অপবাদ দিয়ে গ্রাম থেকে বার করে দেওয়া হয়। শুধু জিয়ারকেই নয়, তাঁর পুরো পরিবারকেই গ্রামছাড়া করার অভিযোগ ওঠে। তার পর মাটি কাটার মেশিন দিয়ে জিয়ারের বাড়িও ভেঙে দেওয়া হয়। ঘটনায় অভিযোগের তির স্থানীয় তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ সূত্রে দাবি, শনিবার রাতে জিয়ারকে স্থানীয় একটি পুকুরে মাছ চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরে ফেলেন এলাকার মানুষ। এর পরেই মারধর এবং গ্রামছাড়া করার ঘটনাটি ঘটে। যদিও বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, জিয়ারকে মিথ্যা চুরির অপবাদ দেওয়া হয়েছে। এমনকি তাঁকে বেঁধে রেখে রাতভর মারধর করে সকালে গ্রামছাড়া করা হয়েছে বলেও দাবি বিজেপির।
এই ঘটনা নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অনুপম হাজরা বলেন, ‘‘জিয়ার আলির একটাই অপরাধ, তিনি বিজেপি করেন। খুবই দরিদ্র ওই পরিবারের সঙ্গে যা করা হল, তা এক কথায় ঘৃণ্য। সকালেই বোলপুরের এসডিপিওর সঙ্গে কথা হয়েছে। উনি দু’দিন সময় নিয়েছেন। কী করছেন আমি দেখছি। দু’দিন পরে আমি ওঁর অফিসে যাব। তৃণমূলের শেখ শাজাহানের নেতৃত্বে এ সব হয়েছে। জিয়ারের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা কী করে করা যায় সেটা দেখছি।’’
যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য এই অভিযোগ মানতে চায়নি। শাসকদলের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্কই নেই। ইলামবাজার তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ফজরুল রহমান বলেন, ‘‘এটি গ্রাম্য বিবাদের ঘটনা। ওই ব্যক্তি বার বার চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন। পুলিশে অভিযোগও হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করুক। বিজেপি ইচ্ছাকৃত ভাবে এতে রাজনৈতিক রং লাগানোর চেষ্টা করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy