ভিন্রাজ্যে বীরভূমের যুবকের রহস্যমৃত্যু। — নিজস্ব চিত্র।
ছোট ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করতে চেন্নাই রওনা হয়েছিলেন। কথা ছিল, ভাইয়ের সঙ্গে রাজমিস্ত্রির কাজ করবেন। এতে সংসার চালাতে একটু সুবিধা হবে। কিন্তু চেন্নাই যাওয়ার পথেই বাড়ির জন্য মনকেমন শুরু হয় বীরভূমের নানুরের বাসিন্দা ৩৩ বছরের বৈদ্যনাথ নাথের। কাজে না গিয়ে বাড়ি ফেরার পথ ধরেন দুই ভাই। কিন্তু ফেরার পথেই রহস্যমৃত্যু হল বৈদ্যনাথের। কটকের কাছে রেললাইনের পাশ থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। কী করে মৃত্যু হল, তা নিয়ে দানা বেঁধেছে রহস্য।
পরিবার সূত্রে খবর, গত সোমবার দুই ভাই মিলে নানুরের খুঁজুটিপাড়ার বাড়ি থেকে চেন্নাইয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে বেরোন। ট্রেন চেন্নাই ঢোকার আগে বৈদ্যনাথের বাড়ির জন্য মনখারাপ করতে থাকে। তার পর, মাঝরাস্তা থেকে দু’ভাই আবার বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। ট্রেন যখন উড়িষ্যার কটক পৌঁছোয় তখন ছোটভাই আদ্যনাথ বড়ভাই বৈদ্যনাথকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুজি শুরু করেন। খুঁজে পাওয়া না গেলে ছোট ভাই হাওড়া এসে আরপিএফকে ঘটনার কথা বিস্তারিত ভাবে জানান। আরপিএফের আধিকারিকেরা খবর নিয়ে জানতে পারেন, কটকের কাছে এক ব্যক্তিকে রেললাইনের পাশে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু তিনিই কি বৈদ্যনাথ?
আরপিএফ সূত্রে খবর, লাইনের পাশ থেকে যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। আরপিএফ আধিকারিকেরা মৃতের পকেট থেকে আই কার্ড পান। তাতে নাম লেখা ছিল, বৈদ্যনাথ নাথ। ছিল ঠিকানাও। সেই সূত্র ধরেই আরপিএফ নানুর থানায় খবর দেয়। বুধবার দুপুরে নানুর থানার পুলিশ মৃতের পরিবারকে বৈদ্যনাথের খবর দেয়। বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন। সব রকম সহায়তার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, বাড়ির জন্য মনখারাপের কারণে বাড়ি ফেরার পথ ধরার পর এমন কী হল যে, কটকের কাছে রেললাইনের ধারে দেহ পাওয়া গেল? বৈদ্যনাথ কি আত্মঘাতী হয়েছেন, না কি তাঁকে খুন করা হয়েছে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy