সৈয়দ সালাউদ্দিনকে খুনের কথা স্বীকার অভিযুক্ত শেখ সলমনের। — নিজস্ব চিত্র।
টাকার জন্যই বন্ধু সৈয়দ সালাউদ্দিনকে খুন করেছেন তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পুলিশের গাড়িতে বসে এমনটাই জানালেন ওই হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত শেখ সলমন। সালাউদ্দিনের পরিবারের অভিযোগ, বিভিন্ন অনলাইন ট্রেডিং এবং অনলাইন বেটিং অ্যাপে লাখ লাখ টাকা খুইয়েছেন সলমন। সেই টাকা আদায় করতে গিয়েই তিনি বন্ধুর গলায় ছুরি বসিয়েছেন।
সোমবার সলমনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আদালতে। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে তিনি স্বীকার করেছেন অপরাধের কথা। সলমন বলেন, ‘‘আমি অভিযোগ স্বীকার করছি।’’ কিন্তু কী কারণে খুন, সেই প্রশ্নের উত্তরে সলমনের জবাব, ‘‘টাকাপয়সার জন্য।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, সালাউদ্দিনকে তিনি খুন করেছেন একাই। টাকার জন্য সালাউদ্দিনের বাবাকেও যে তিনি ফোন করেছিলে্ন, তা-ও জানিয়েছেন সলমন। তবে কী দিয়ে সালাউদ্দিনকে তিনি খুন করেছিলেন তা নিয়ে কোনও কথা বলতে চাননি তিনি। যদিও তদন্তকারীদের দাবি, অভিযুক্ত স্বীকার করেছেন, শনিবার রাতে চৌপাহাড়ির জঙ্গলে বসে তিনি মদ্যপান করেছিলেন সালাউদ্দিনের সঙ্গে। সালাউদ্দিন নেশার ঘোরে কিছুটা বেহুঁশ হয়ে পড়লে তাঁর গলায় ছুরি বসিয়ে দেন সলমন।
সলমন জানিয়েছেন, তিনি খুন করেছেন টাকার জন্য। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইটের ব্যবসা করতে গিয়ে অনেক টাকা ক্ষতি হয়েছিল তাঁর। এর পর অনলাইন ট্রেডিং এবং বেটিং অ্যাপের মাধ্যমে আর্থিক অবস্থা ফেরানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানেও ডুবে যায় লক্ষ লক্ষ টাকা। সেই একই অভিযোগ করেছেন সালাউদ্দিনের পিসেমশাই সৈয়দ শাহনাওয়াজ আলিও।তাঁর মতে, ‘‘আমাদের মনে হচ্ছে, এই কাজ একার পক্ষে সম্ভব নয়। সলমনের সঙ্গে অন্য কারও থাকার সম্ভাবনা আছে। টাকার জন্য খুন করা হয়েছে সালাউদ্দিনকে। কারণ সলমনের এলাকায় প্রচুর ধারদেনা আছে। ও ইটের ব্যবসা করত। সেখানে তার ক্ষতি হয়েছিল। এ ছাড়াও অনলাইন ট্রেডিং এবং বেটিং করতে গিয়েও প্রচুর টাকা ক্ষতি হয়েছে ওর। পাশাপাশি অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের জন্যও অনেক টাকা ধার করেছিল ও।’’
এর পর সলমন তাঁর বড়লোক বন্ধু সালাউদ্দিনকে ‘অপহরণ’ করে মুক্তিপণ আদায় করার ছক কষেন বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে তিনি সালাউদ্দিনকে খুন করে ফেলেন বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন তদন্তকারীরা। অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করবে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy