কিটো ডায়েটে কী কী করবেন আর কী নয়, জানালেন আলিয়ার পুষ্টিবিদ। ফাইল চিত্র।
গত কয়েক বছরে কিটো ডায়েটের জনপ্রিয়তা বেড়েছে চোখে পড়ার মতো। চটজলদি ওজন কমাতে এই ডায়েটের উপর ভরসা করছেন অনেকেই। সঠিক নিয়ম মেনে এই ডায়েট করতে পারলে ৬ মাসে ১৫-২০ কেজি অবধি ওজন কমানো সম্ভব। তবে কিটোর নিয়ম না মানলেই মুশকিল। তখন পুষ্টির অভাবে লাভের চেয়ে শরীরের ক্ষতিই হবে বেশি। কিটো ডায়েট যদি করতেই হয়, তা হলে কী ভাবে করা উচিত, তার খুঁটিনাটি বোঝালেন অভিনেত্রী আলিয়া ভট্টের পুষ্টিবিদ সিদ্ধান্ত ভার্গব।
কিটো ডায়েটের মূল কথা হল রোজের খাওয়াদাওয়া থেকে কার্বোহাইড্রেট একেবারেই ছেঁটে ফেলা। বদলে পরিমাণ মতো খেতে হবে প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়া একেবারে বন্ধ করে দিলে বিপাকঘটিত ক্রিয়া পর্যায়ে চলে যায়, তাকেই চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ‘কিটোসিস’। তখন শরীরে শক্তির জোগান আসে প্রোটিন ও ফ্যাট থেকেই। এই প্রক্রিয়ায় কার্বোহাইড্রেটের বদলে ফ্যাট গলে। ফলস্বরূপ শরীর ফ্যাট-মুক্ত হয় তাড়াতাড়ি। পুষ্টিবিদ সিদ্ধান্ত জানাচ্ছেন, কার্বোহাইড্রেট যে হেতু একেবারেই বন্ধ করে দিতে হয়, তাই এই ডায়েটে নিয়ম মেনে ক্যালোরি মেপে খেতে হয়। একচুল এ দিক-ও দিক হলেই গন্ডগোল। যেমন, প্রোটিনের মাত্রা বেড়ে গেলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে কিটোসিস। আবার যদি দীর্ঘ সময় পেট খালি থাকে, তা হলে মাথা ঘোরা, বমি ভাব, প্রবল ক্লান্তি ও ঝিমুনি দেখা দেবে। হজমের সমস্যাও শুরু হবে।
কিটো ডায়েটে কী করবেন আর কী নয়?
১) চিনি খাওয়া একেবারেই চলবে না। পুষ্টিবিদের মতে, চিনি বাদ দিয়ে গুড় বা মধু খাওয়াও কিন্তু চলবে না।
২) চাল বা গমের কোনও জিনিস খাওয়া চলবে না। দানাশস্যও নয়। ভাত, রুটি, ওট্স, ডালিয়া, কিনোয়া, আলু এবং সব রকম মিষ্টি খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।
৩) সবুজ সব্জি ছাড়া আর কিছু খাওয়া যাবে না। রঙিন সব্জিও নৈব নৈব চ। একমাত্র বেগুন আর জ়ুকিনি খাওয়া যেতে পারে।
৪) ১৬ ঘণ্টার বেশি পেট খালি রাখবেন না। এই ডায়েটে উপোস করা চলবে না।
৫) ওজন কমানোর জন্য কঠোর ভাবে কিটো ডায়েট করতে হলে কেবল পেঁপে, তরমুজ আর বেরি ছাড়া কোনও রকম ফল খাওয়া যাবে না।
৬) কিটো ডায়েটে থাকলে শরীরে নুন কম যায়, ফলে সোডিয়ামের মাত্রাও যায় কমে। তাই পরিমাণ মতো নুন খেতেই হবে। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত জল না খেলে শরীরে জলশূন্যতা দেখা দিতে পারে।
৭) শর্করা যে হেতু একেবারে বাদ দিতে হবে, তাই স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ডায়েটে রাখতেই হবে। বিশেষ করে ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। কে কেমন ফ্যাট জাতীয় খাবার খাবেন, তা তাঁর শরীর ও ওজন বুঝে ঠিক করতে হবে।
৮) শর্করা বাদ দিলে পেশির ক্লান্তি বাড়বে। তাই বিকল্প হিসেবে পরিমিত পরিমাণে প্রোটিন খেতে হবে। চিকেন, মাছ, ডিম, যে কোনও রকম ডাল, কড়াইশুঁটি, ভুট্টার দানা খেতে হবে।
৯) কিটো ডায়েট মেনে চললে খুব ভারী ব্যায়ামের দরকার পড়ে না। তবে রোজ আধ ঘণ্টা করেও সাইক্লিং, পুশ আপ, স্কোয়াটের মতো ব্যায়াম করতে পারলে ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy