আবার শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বীরভূম! শনিবার সকাল থেকেই এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্টর জেলায়। অভিযোগ, অন্য গোষ্ঠীর লোকজনের হাতে মার খেয়ে মৃত্যু হয় শেখ নিয়ামুল নামে ওই তৃণমূল কর্মীর। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না-কাটতেই এ বার বীরভূমের শান্তিনিকেতন থানা এলাকায় অনুব্রত অনুগামীদের মারধরের অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, শুক্রবার রাতে তাঁরা কেষ্টর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। সেই কারণেই ওই তৃণমূল কর্মীদের উপর চড়াও হয় অন্য এক গোষ্ঠীর দুষ্কৃতীরা। ভাঙচুর এবং লুটপাট চলে তাঁদের দোকানেও!
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিনিকেতন থানার রূপপুর পঞ্চায়েতের মোমিনপুর গ্রামের কয়েক জন তৃণমূল কর্মী শুক্রবার রাতে অনুব্রতের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। পরে সেই তৃণমূল কর্মীদেরই মারধর করা হয়। অভিযোগ, অনুব্রতের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কারণেই তাঁদের উপর হামলা চালানো হয়। আক্রান্তদের মধ্যে তিন জনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁরা। অভিযোগের তির বাবু দাস নামে এলাকারই এক তৃণমূল নেতার গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, এলাকায় ইটবৃষ্টি এবং বোমাবাজিও করা হয়।
যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাবু। তাঁর ঘনিষ্ঠদের দাবি, সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। যাঁরা অভিযোগ করছেন, তাঁরা নিজেদের অনুব্রতের গোষ্ঠীর বলে পরিচয় দিচ্ছেন। কিন্তু তাঁরা সকলেই সিপিএম করেন। গ্রামে অশান্তি করতে চাইছে তাই নিজেরাই ভাঙচুর করে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
আরও পড়ুন:
অশান্তির খবর পেয়ে শুক্রবার রাতেই মোমিনপুরে যায় শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। তবে এই অশান্তির ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার সকাল থেকেই গ্রামের পরিস্থিতি থমথমে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গ্রামে টহল দিচ্ছে পুলিশ।
অন্য দিকে, কাঁকরতলা থানা এলাকায় কয়েক দিন আগে তৃণমূল বনাম তৃণমূলের লড়াইয়ে বোমার আঘাতে পা উড়েছিল এক কর্মীর। শনিবার সেই এলাকাতেই নিয়ামুল নামে এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বীরভূম। বালির ‘বখরা’ নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। তার মধ্যেই শান্তিনিকেতন থানা এলাকায় প্রকাশ্যে এল শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ।