হাত-বাড়ালেই: মাচানতলার মুক্তমঞ্চে বাঁকুড়া মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির রসগোল্লা বিলি। ছবি: অভিজিৎ সিংহ
প্লাস্টিক বর্জন করতে আগেই নেমে পড়েছেন বড়জোড়ার ব্যবসায়ীদের একাংশ ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি। এ বার এগিয়ে এলেন মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। বছর দুয়েক আগে এই দিনেই (১৪ নভেম্বর) জিআই মান্যতা পায় বাংলার রসগোল্লা। সেই ঘটনাকে স্মরণ করে বৃহস্পতিবার রসগোল্লা বিলিয়ে প্লাস্টিক বর্জনের অঙ্গীকার করল ‘পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির’ বড়জোড়া শাখা।
বাঁকুড়ার এই শিল্পাঞ্চলের ওষুধ বিক্রেতারা আগেই প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করেছেন। এ বার রীতিমতো রসগোল্লা বিলিয়ে প্লাস্টিক বর্জনের অঙ্গীকার করলেন মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদের ওই সংগঠনের সদস্যেরা। এ দিন বড়জোড়ার চৌমাথায় একটি অনুষ্ঠান করে চার হাজার রসগোল্লা বিলি করেন তাঁরা।
সংগঠনের বড়জোড়া শাখার সভাপতি সুকুমার মোদক বলেন, ‘‘রাজ্য ও জেলা সংগঠনের তরফে রসগোল্লার জিআই প্রাপ্তির দ্বিতীয় বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠানের ঘোষণা করা হয়। আমার সিদ্ধান্ত নিই, বড়জোড়ার মিষ্টির দোকানগুলিতে আর প্লাস্টিক ব্যবহার করা হবে না, এমন অঙ্গীকার করার এটাই ঠিক দিন।’’
বড়জোড়ার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য পূজা মণ্ডল বলেন, ‘‘খাবারের দোকানে প্লাস্টিক ব্যবহার যে কত বিপজ্জনক তা মানুষকে বুঝতে হবে। বিশেষ করে গরম খাবার প্লাস্টিকে রাখা মানে তা আরও ভয়ানক। মিষ্টির দোকানগুলি প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করলে সমাজের ভাল।’’
সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ গিরিধারী নন্দী জানান, তাঁদের সংগঠনের আওতায় থাকা সকল মিষ্টি ব্যবসায়ীকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এ দিন থেকে মিষ্টি, সন্দেশ, চপ, সিঙাড়া কাগজের বা কাপড়ের ব্যাগে দিতে হবে। শালপাতার ঠোঙাও ব্যবহার করা যাবে। মাটির ভাঁড়ে রসগোল্লা, পান্তুয়া, ল্যাংচা দেওয়া হবে।
স্কুল শিক্ষক শুভ্রাংশু বসু বলেন, ‘‘বহু মানুষ লাইন দিয়ে রসগোল্লা খেলেন। একটা উৎসবের মেজাজ ছিল। আর যাতে মিষ্টি কিনতে গিয়ে প্লাস্টিক না চাওয়া হয় সে জন্য আবেদনও করা হচ্ছিল। এটা যদি কার্যকর হয়, তাহলে সত্যিই উপকার হবে।’’
বড়জোড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কাজল পোড়েল বলেন, ‘‘মানতেই হবে প্লাস্টিক-বর্জন ব্যবসায়ীদের সাধু উদ্যোগ। মানুষ সচেতন হলেই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সুস্থ পরিবেশ পাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy