Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

মোটরবাইকে মহকুমা-সফর

সরকারি বিভিন্ন পরিষেবা মানুষের কাছে কতটা পৌঁছচ্ছে, সে সব নিয়ে কোনও অভিযোগ রয়েছে কি না— এই সমস্ত দেখতে বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন।

কথাবার্তা: ইঁদপুরের গুন্নাথে গ্রামবাসীর সঙ্গে জেলাশাসক ও প্রশাসনের অন্য কর্তারা। ছবি: শুভেন্দু তন্তুবায়

কথাবার্তা: ইঁদপুরের গুন্নাথে গ্রামবাসীর সঙ্গে জেলাশাসক ও প্রশাসনের অন্য কর্তারা। ছবি: শুভেন্দু তন্তুবায়

নিজস্ব সংবাদদাতা
ইঁদপুর শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ০০:৪৬
Share: Save:

সাত সকালে মোটরবাইকে চড়ে খাতড়ার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরলেন বাঁকুড়ার জেলাশাসক। সঙ্গে ছিলেন মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিকেরাও। বিকেলে খাতড়া মহকুমা অফিসে একটি বৈঠক হয়। তার পরে বাঁকুড়ার জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস বলেন, ‘‘সারাদিন ধরে বিডিওদের নিয়ে বিভিন্ন ব্লকের স্বাস্থ্যকেন্দ্র, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রভৃতি দেখা হয়েছে। মোটের উপরে ঠিকই আছে। শুধু কুরুস্থলিয়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পরিচালনা এবং ওখানকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো নিয়ে অভিযোগ রয়েছে।’’

সরকারি বিভিন্ন পরিষেবা মানুষের কাছে কতটা পৌঁছচ্ছে, সে সব নিয়ে কোনও অভিযোগ রয়েছে কি না— এই সমস্ত দেখতে বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন। শনিবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ ইঁদপুরের গুন্নাথ গ্রামে যান বাঁকুড়ার জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস। গ্রামবাসী জানান, ফার্মাসিস্টের ভরসায় সেখানকার স্বাস্থ্যকেন্দ্র চলে। ডাক্তারের দাবি জানান তাঁরা। গুন্নাথের বাসিন্দা পরাণ কর্মকারের দাবি, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সপ্তাহে তিন দিন ডাক্তার আসবেন বলে প্রশাসনের থেকে আশ্বাস মিলেছে।

ওই গ্রাম থেকে প্রশাসনের দলটি যায় কুরুসস্থলিয়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। সেখানে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী অনুপস্থিত থাকায় জেলাশাসক ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ব্লক প্রশাসনকে বিষয়টি দেখার নির্দেশ দেন। আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম কুরুসস্থলিয়া। সেখানকার বাসিন্দা বিমল হেমব্রম ও গুরুপদ হাঁসদা জানান, জেলাশাসককের কাছে গ্রামে পাকা রাস্তার দাবি তোলা হয়েছিল। তিনি তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন। বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা ঠিকমতো মিলছে কি না, নিয়েছেন সে খোঁজ। কুরুসস্থলিয়ার কানু হেমব্রম দৃষ্টি-প্রতিবন্ধী। রাজ্য সরকারের ‘মানবিক’ প্রকল্পে ভাতা দাবি করেন তিনি। ব্লক প্রশাসন জেলাশাসককে জানায়, ওই ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই বলে প্রকল্পের আওতায় আনা যায়নি। জেলাশাসক ব্লক প্রশাসনকে দ্রুত সেই সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দিয়েছেন। পরে কুরুসস্থলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, গুন্নাথ প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গুন্নাথ উচ্চ বিদ্যালয়ে যান জেলাশাসক। ছিলেন এসডিও (খাতড়া) রাজু মিশ্র ও বিডিও (ইঁদপুর) মনীশ নন্দী।

কুরুসস্থলিয়ার পরে, তালড্যাংরার হাড়মাসড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে চারপাশ ঘুরে দেখেন প্রশাসনের প্রতিনিধিরা। উপস্থিত রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। হাড়মাসড়া পঞ্চায়েতেও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলা হয়। কেশিয়াতোড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে পড়ুয়াদের সাথে কথা বলে খোঁজ নেওয়া হয় মিড-ডে মিলের ব্যাপারে। সেখান থেকে সিমলাপাল ব্লকের লক্ষ্মীসাগর। একটি পুকুর সংস্কারের দাবি শুনে জেলাশাসক দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। পরে লক্ষ্মীসাগর পঞ্চায়েতে যান। বিডিও (সিমলাপাল) রথীন্দ্রনাথ অধিকারী জানান, ভেলাইডিহা, পাথরডাঙা গ্রামের মানুষজন শিলাবাতী নদীর শুকিয়ে যাওয়া কাশ পরিষ্কার-সহ নদীর পাড় বাঁধানোর দাবি তুলেছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। সিমলাপালের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের শালপাতার থালা ও স্কুলের পোশাক তৈরির কাজ ঘুরে দেখে মহকুমাশাসকের দফতরে যান জেলাশাসক।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy