চন্দনা বাউড়ি। —ফাইল চিত্র।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মেনেই শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির আত্মসমর্পণের আবেদন ফিরিয়ে দিল বাঁকুড়া জেলা আদালত। তাঁকে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে সাংসদ এবং বিধায়কদের জন্য বিশেষ আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এর পরেই আত্মসমর্পণের আবেদন প্রত্যাহার করে নেন চন্দনার আইনজীবী লোকেশ মুখোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া জেলা আদালতে আত্মসমর্পণের আবেদন করেন চন্দনা বাউড়ির আইনজীবী। আদালতে ছিলেন শালতোড়ার বিধায়ক। কিন্তু তাতে আপত্তি জানান সরকারি আইনজীবী। তাঁর যুক্তি, বারাসতে সাংসদ এবং বিধায়কদের জন্য বিশেষ আদালত রয়েছে। তা নিয়ে হাই কোর্টের নির্দেশের কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি। এর পর আবেদন প্রত্যাহার করে নেন চন্দনা। সরকারি আইনজীবী সজল বারিক পরে বলেন, ‘‘শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি আত্মসমর্পণ করেছিলেন। বিচারক বলেছেন, উনি বিধায়ক বলে ওঁদের জন্য বারাসতে যে বিশেষ আদালত আছে, সেখানে যেতে হবে। এখানে বিচার করা যাবে না। সেখানেই বিধায়ককে আত্মসমর্পণ করতে হবে। তা না হলে চন্দনার বিচারবিভাগীর হেফাজত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর পর ওঁর আইনজীবী আত্মসমর্পণের আবেদন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।’’
চন্দনার আইনজীবী লোকেশ বলেন, ‘‘উনি আত্মসমর্পণ করতে এসেছিলেন। সরকারি আইনজীবী একটি বিজ্ঞপ্তি দেখিয়ে বলেন, বিধায়ক, সাংসদদের মামলা বারাসত আদালতে বিচার হবে। আমরা বারাসত আদালতে চন্দনা বাউড়িকে পেশ করে জামিনের আবেদন করব। কিসের ভিত্তিতে, কী অভিযোগ হয়েছিল, তা পরবর্তী কালে বিচার হবে। তবে কবে নাগাদ উনি আত্মসমর্পণ করবেন তা বিজেপি-র আইনজীবী সেল ঠিক করবে।’’
গত ১৯ অগস্ট চন্দনা এবং তাঁর গাড়িচালক কৃষ্ণ কুন্ডুর পরকীয়ার কথা সামনে আসে। এর পর কৃষ্ণের প্রথম স্ত্রী রুম্পা কুন্ডু গঙ্গাজলঘাটি থানায় চন্দনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই মামলাতেই বৃহস্পতিবার আত্মসমর্পণ করতে গিয়েছিলেন চন্দনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy