Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

উদ্ধার ‘লুটের’ সামগ্রী, পিস্তল

পুলিশের দাবি, গত চার দিন ঝাড়খণ্ডের তিরুলডি থানার চড়া গ্রামে ধৃতদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

বমাল: ধৃত তিন জনকে বাঘমুণ্ডি থানার পুলিশ। তাদের থেকে ছিনতাই হওয়া এই জিনিসপত্র উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে। নিজস্ব চিত্র

বমাল: ধৃত তিন জনকে বাঘমুণ্ডি থানার পুলিশ। তাদের থেকে ছিনতাই হওয়া এই জিনিসপত্র উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাঘমুণ্ডি শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:২৫
Share: Save:

চলতি মাসের প্রথম দিকে পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডির বাসিন্দা এক ‘ব্যাঙ্ক-মিত্রের’ মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে নগদ ১ লক্ষের বেশি টাকা, একটি স্ক্যানার, একটি ল্যাপটপ এবং ক্যাশ রেজিস্টার লুট করেছিল এক দল দুষ্কৃতী। লুট হওয়া টাকা এবং সামগ্রীগুলি উদ্ধার করা গিয়েছে বলে সোমবার দাবি করেছে পুলিশ। ওই ঘটনায় আগেই ধরা হয় আমিরুদ্দিন আনসারি, জামিল হোসেন ওরফে মিঠুন এবং ছোটে মোমিন নামে ঝাড়খণ্ডের তিন বাসিন্দাকে।

পুলিশের দাবি, গত চার দিন ঝাড়খণ্ডের তিরুলডি থানার চড়া গ্রামে ধৃতদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা গিয়েছে ল্যাপটপ-সহ অন্য সামগ্রীও। লুটের ঘটনায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটিও পুলিশ উদ্ধার করেছে।

গত ৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় বাঘমুণ্ডি থানার চড়িদা এবং ঘোড়াবান্ধা গ্রামের মাঝে রাস্তায় জয়প্রকাশ কুমার নামে ওই ‘ব্যাঙ্ক-মিত্রের’ মোটরবাইক আটকায় দুষ্কৃতীরা।

অভিযোগ, বাঘমুণ্ডির হুড়ুমদা গ্রামের বাসিন্দা জয়প্রকাশবাবুর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে তাঁর থেকে এক লক্ষ ১০ হাজার টাকা, একটি ল্যাপটপ, একটি স্ক্যানার এবং ক্যাশ রেজিস্টার নিয়ে চম্পট দেয় তারা। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রের খবর, তদন্ত চলাকালীন পুলিশের কাছে খবর আসে দুষ্কৃতীরা ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। এর পরে ঝাড়খণ্ড পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এর পরে পুলিশের কাছে খবর আসে, লুটের ঘটনায় যুক্ত দুষ্কৃতীরা ঝাড়খণ্ডের তিরুলডি থানার চড়া গ্রামে রয়েছে। গত ৮ নভেম্বর স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় সেখান থেকে আমিরুদ্দিন, জামিল এবং মোমিনকে গ্রেফতার করে বাঘমুণ্ডি থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, প্রথম দু’জনের বাড়ি চড়া গ্রামে। মোমিনের আদি বাড়ি বাঘমুণ্ডির জিলিং গ্রামে হলেও দীর্ঘদিন ধরেই সে চড়া গ্রামে থাকত।

পুরুলিয়া আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ধৃতদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। জেলে থাকাকালীন আদালতের নির্দেশে ‘টি আই প্যারেড’ হয় আমিরুদ্দিন এবং জামিলের। গত ১৪ নভেম্বর ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন করে পুলিশ। ওই তিন জনকে চার দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

এক পুলিশ আধিকারিকের দাবি, পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন ধৃতদের নিয়ে ঝাড়খণ্ডের চড়া গ্রাম এলাকায় গিয়েছিল বাঘমুণ্ডি থানার পুলিশ। তখনই চোরাই জিনিস, টাকা এবং হামলায় ‘ব্যবহৃত’ পিস্তলটি উদ্ধার করা হয়।

এ দিন ওই তিন জনকে ফের পুরুলিয়া আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারকের নির্দেশে তাদের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

অন্য বিষয়গুলি:

Police Baghmundi Snatching
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy