বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। —নিজস্ব চিত্র।
বিশ্বভারতীর মান নিয়ে একাধিক বার সমালোচনা করেছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-সংস্কৃতির অবনতি ঘটেছে বলেও সরব হয়েছেন। তবে নিজের মেয়ে সুকন্যাকে বিশ্বভারতীতে ভর্তি করাতে পারেননি বলে আক্ষেপ যায়নি বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। এ বিষয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের দ্বারস্থ হলে হয়তো মেয়েকে সেখানে ভর্তি করানো যেত বলে শুক্রবার মন্তব্য করেছেন তিনি।
শুক্রবার তৃণমূলের বীরভূম জেলা কার্যালয়ে রাজ্য সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজ-শিক্ষকদের উদ্যোগে একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হয়। সেখানে উপস্থিত থাকা অনুব্রত বলেন, “আমার একটা দুঃখ রয়েছে। বিশ্বভারতীতে মেয়েকে ভর্তি করানোর খুব ইচ্ছা ছিল। কিন্তু পারিনি।” বিশ্বভারতীতে মেয়ের ভর্তি না হওয়ার পিছনে রাজ্যের মন্ত্রী তথা বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিংহই যে ‘দায়ী’, তা-ও মনে করান অনুব্রত। তাঁর কথায়, “গগন (গগন সরকার) আর চাঁদুর (চন্দ্রনাথ সিংহ) পাল্লায় পড়েছিলাম বলেই মেয়েকে বিশ্বভারতীতে ভর্তি করাতে পারিনি। ওরা বলেছিল, ‘আমি দেখে নেব’। ওদের না বলে সরাসরি ভিসি-কে বললে (মেয়ের ভর্তির ব্যবস্থা) হয়ে যেত।”
বিশ্বভারতীতে ভর্তি করাতে না পারলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহায্যেই যে তাঁর মেয়ে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়েছেন, তা-ও স্বীকার করেন অনুব্রত। তিনি বলেন, “আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেছিলাম, (মেয়ের জন্য) বিশ্বভারতী যাব না। পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘কেন যাবি না?’ পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিজ্ঞেস করেন, কোন ইউনিভার্সিটি চাইছিস? তার পরেই একটা ইউনিভার্সিটি করে দিল।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy