Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

জাহেরথান গড়তে জমি অনুব্রতের

বীরভূমের বিভিন্ন গ্রামের আদিবাসী জনজাতির দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, তাঁদের প্রতিটি গ্রামে একটি করে ‘জাহেরথান’ গড়তে এক কাঠা করে জমি লাগবে।

অনুব্রত

অনুব্রত

নিজস্ব সংবাদদাতা
বোলপুর শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০১৮ ০০:৪৪
Share: Save:

জেলার প্রতিটি আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামের পতিত জমি থেকে এক কাঠা করে জায়গা নিয়ে ‘জাহেরথান’ তৈরির নির্দেশ দিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। রবিবার বোলপুরের বীরভূম জেলা কার্যালয়ে আদিবাসী সেলের সাধারণ সভায় ব্লক সভাপতিদের এই নির্দেশ দেন তিনি। কিছু দিনের মধ্যে আদিবাসীদের জন্য একটি সংবর্ধনা সভারও আয়োজন করা হবে বলে জানান অনুব্রত।

বীরভূমের বিভিন্ন গ্রামের আদিবাসী জনজাতির দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, তাঁদের প্রতিটি গ্রামে একটি করে ‘জাহেরথান’ গড়তে এক কাঠা করে জমি লাগবে। ‘জাহেরথান’ আদিবাসী জনজাতির দেবালয়। রবিবার তাঁদের সেই দাবি পূরণ করেন শাসক দলের জেলা সভাপতি। বিধায়কদের তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, জায়গা নির্বাচন হয়ে গেলে সেই জায়গা যেন ঠিক করে ঘিরে দেওয়া হয়।

এই ঘোষণায় আনন্দিত আদিবাসী জনজাতির মানুষ। জেলা আদিবাসী সেলের সভাপতি সুনীল টুডু এবং সম্পাদক রবিন মুর্মূ বলেন, ‘‘এই সরকার আমাদের জন্য যা ভেবেছে, এর আগে কোনও সরকার ভাবেনি। আজ আবারও তা প্রমাণ হল।’’

আদিবাসীদের শ্মশানের অংশ দখল হয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাঁরা। অনুব্রত বলেন, ‘‘যেখানে যেখানে এ রকম সমস্যা হয়েছে, সেখানকার ব্লক সভাপতিকে বিষয়টি জানাতে হবে। জবরদখল মুক্ত করা হবে শ্মশানগুলিকে। জবরদখলকারী যদি ব্লক সভাপতি নিজেও হন, তাঁকেও রেয়াত করা হবে না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সামান্য এক কাঠা জমি চেয়েছিলেন। সেটা পূরণ না করলে হবে!’’ তিনি জানান, আদিবাসী জনজাতির কৃতীদের সংবর্ধনায় একটি করে ধুতি, কুর্তা, পাগড়ি বাঁধার কাপড় এবং মিষ্টির প্যাকেট দেওয়া হবে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE