Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
অনুব্রতর মুখে ফের প্রার্থীর নাম
TMC

নাম ছাড়াই প্রচার, নির্দেশ কর্মীদের

তৃণমূল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বোলপুরে দলীয় কার্যালয়ে দলের জেলা কমিটির বৈঠক ডেকেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সেখানেই তিনি নেতাদের জানিয়ে দেন, রাজ্যের তরফে যে প্রার্থী তালিকা আসবে সেটাই  মানতে হবে।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

দয়াল সেনগুপ্ত 
সিউড়ি শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৫:৪০
Share: Save:

এর আগে জেলায় একাধিক সভায় প্রার্থীর নাম বলে দিয়েছেন অথবা ইঙ্গিত দিয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। দল সূত্রে খবর, এ বার নিজেই সেই প্রবণতায় রাশ টানতে চান তিনি। যদিও, বুধবারই সিউড়িতে দলের সভা থেকে ফের নিজে ফের প্রার্থীর নাম বলে দেন অনুব্রত।

তৃণমূল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বোলপুরে দলীয় কার্যালয়ে দলের জেলা কমিটির বৈঠক ডেকেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সেখানেই তিনি নেতাদের জানিয়ে দেন, প্রার্থী হিসাবে কেউ নিশ্চিত নন। রাজ্যের তরফে যে প্রার্থী তালিকা আসবে সেটাই মানতে হবে। তাই, প্রচারের কাজ এগিয়ে রাখতে দেওয়াল লিখন করতে বলা হলেও অতি উৎসাহী হয়ে কেউ যেন প্রার্থীর নাম লিখে না ফেলেন তা নিয়ে নির্দেশ দেন অনুব্রত। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা জেলা সভাপতির এই নির্দেশের কথা মেনেছেন। দলের এক শীর্ষ নেতা বলছেন, ‘‘ফের প্রার্থী হতে পারেন এমন বিধায়ক এবং মন্ত্রীদের ক্ষেত্রেও ওই নির্দেশ প্রযোজ্য।’’

এর আগে অবশ্য জেলার নানা জায়গায় সভা থেকে প্রার্থী সম্বন্ধে স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন অনুব্রত নিজেই। খয়রাশোলে বুথ ভিত্তিক কর্মী সম্মেলন থেকে দুবরাজপুর বিধানসভার সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে নরেশচন্দ্র বাউড়ির নাম ইঙ্গিত করেন তিনি। গত অক্টোবরে রমাপুরহাটে দলীয় সভা থেকে আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণাই করে দিয়েছিলেন অনুব্রত। যা নিয়ে বীরভূমে এসে কটাক্ষও করেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, যিনি অনুব্রত বিরোধী বলে পরিচিত। সম্প্রতি, গত ৫ ফেব্রুয়ারি কীর্ণাহারে কেএস মাঠের জনসভা থেকে নানুর বিধানসভা কেন্দ্র সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে দলের পর্যবেক্ষক তথা শিক্ষক বিধানচন্দ্র মাজির নামও কার্যত ঘোষণা করে দেন অনুব্রত। বুধবারও সিউড়ি ২ ব্লকের পুরন্দরপুরে ব্লকের মাঠে মহিলা কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাঁইথিয়ার প্রার্থী ঘোষণা করে দেন অনুব্রত। তিনি বলেন, ‘‘সামনে ভোট। নীলাবতি আপনার প্রার্থী। দয়া করে জোড়া ফুলে ভোট দেবেন।’’

তার পরেও কর্মীদের এমন নির্দেশ দেওয়ার পিছনে সঙ্গত কারণ রয়েছে মনে করছেন দলের শীর্ষ নেতাদের একাংশ। তাঁরা বলছেন, ‘‘নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয় নি। অনুমোদিত প্রার্থী তালিকাও রাজ্য থেকে আসে নি। বলা হয়েছে দলীয় প্রতীক জোড়া ফুল এঁকে প্রচার করলেও প্রার্থীর নাম ফাঁকা রাখতে। আগ বাড়িয়ে প্রার্থীর নাম লেখা হলে তা বদল হলে দলের ভাবমূর্তিতে দাগ পড়তে পারে।’’

তাহলে জেলা সভাপতি নিজে কেন একাধিক বিধানসভায় গিয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছেন বা ইঙ্গিত করেছেন? দলের জেলা সহ-সভাপতি অভিজিত সিংহ বলছেন, ‘‘বুঝতে হবে প্রস্তাব আর অনুমোদন এক বিষয় নয়। দলের জেলা সভাপতি হিসেবে তিনি রাজ্যের কাছে প্রার্থীর নাম প্রস্তাব করতেই পারেন। কিন্তু চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা অনুমোদন করবেন তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের অনুশাসন যাতে বজায় থাকে কেষ্টদা সেটাই নিশ্চিত করতে চেয়েছেন।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy