Advertisement
E-Paper

বাঁকুড়ার জঙ্গল, পাহাড়ে নয়া ট্রেকিং রুটের খোঁজে অভিযান প্রকৃতিপ্রেমী ১৬ জন অভিযাত্রীর

গত ৫ নভেম্বর ১৬ জনের একটি প্রশিক্ষিত অভিযাত্রী দল তাঁবু ফেলেন রানিবাঁধ থানার বাঁশকানালি গ্রামের কাছে । ৬ নভেম্বর থেকে ওই অভিযাত্রী দলটি প্রস্তাবিত রুট ধরে হাঁটতে শুরু করে।

পাহাড়ে নতুন ট্রেকিং রুটের খোঁজ।

পাহাড়ে নতুন ট্রেকিং রুটের খোঁজ। ছবি সংগৃহীত।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২২ ২৩:২৬
Share
Save

বাঁকুড়ার প্রসিদ্ধ বারো মাইল জঙ্গলে নতুন ট্রেকিং রুটের খোঁজে অভিযান চালালেন ১৬ জন অভিযাত্রী । গত ৫ নভেম্বর থেকে ওই অভিযাত্রীরা অভিযান শুরু করেন । মঙ্গলবার তাঁদের অভিযান শেষ হওয়ার কথা । জঙ্গল, পাহাড়ের পথে দীর্ঘ এই অভিযানে অভিযাত্রীরা নয়া ট্রেকিং রুটের খোঁজ করার পাশাপাশি ওই জঙ্গলে বিভিন্ন ধরনের বসবাসকারী প্রাণী ও উদ্ভিদের তথ্য সংগ্রহ করছেন । খতিয়ে দেখছেন ওই জঙ্গলের হোম স্টে-সহ অন্যান্য পর্যটন পরিকাঠামো তৈরির সম্ভাবনা ও স্থানীয় গ্রামের মানুষদের আর্থ সামাজিক পরিবেশ ।

উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি বাঁকুড়ার পাশের জেলা পুরুলিয়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে বিভিন্ন জঙ্গল ও পাহাড়ি এলাকায় ট্রেকিং রুট রয়েছে। কিন্তু শুশুনিয়ায় শৈলারোহণ ও বিহারিনাথে ট্রেকিংয়ের সুযোগ ছাড়া বাঁকুড়া জেলায় তেমন ‘অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের’ সুযোগ নেই । ফলে প্রতি বছর শীতের মরসুমে রানিবাঁধ , মুকুটমণিপুর ও ঝিলিমিলি এলাকায় বেড়াতে যাওয়া প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকদের কিছুটা নিরাশ হতে হয় । এ বার পর্যটকদের সেই চাহিদা মেটানোর ব্যাপারে তৎপরতা শুরু হল।

সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে বারো মাইল জঙ্গলে সমীক্ষা করে মোটামুটি একটি প্রস্তাবিত রুট তৈরি করা হয়েছে । বন দফতরের অনুমতি নিয়ে বাঁকুড়ার একটি প্রকৃতিপ্রেমী সংগঠনের অভিযাত্রীরা সেই রুট ধরে তার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেন। সেই উদ্যেশ্যেই গত ৫ নভেম্বর ১৬ জনের একটি প্রশিক্ষিত অভিযাত্রী দল তাঁবু ফেলেন রানিবাঁধ থানার বাঁশকানালি গ্রামের কাছে । ৬ নভেম্বর থেকে ওই অভিযাত্রী দলটি প্রস্তাবিত রুট ধরে হাঁটতে শুরু করে। প্রায় ৩৫ কিলোমিটার পাহাড়ি জঙ্গল পথে হেঁটে সোমবার দলটির পৌঁছানোর কথা সুতানে । অরুপ পাত্র কর্মকারের নেতৃত্বে এই অভিযানে সংগৃহিত তথ্য বিশ্লেষণ করে আগামী দিনে এই ট্রেকিং রুটের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হবে বলে অভিযাত্রী দলের তরফে জানানো হয়েছে ।

অভিযানে অংশ নেওয়া প্রকৃতিপ্রেমী সংগঠনটির সম্পাদক মিলন পতি বলেন, ‘‘বাঁকুড়ার রানিবাঁধ এলাকায় থাকা এই পাহাড়ি জঙ্গলের মতো অপূর্ব দৃশ্য ও প্রাকৃতিক বৈচিত্র রাজ্যের আর কোথাও নেই । নির্দিষ্ট ট্রেকিং রুট না থাকায় এই অপরুপ শোভা দেখা থেকে এতদিন বঞ্চিত হচ্ছিলেন পর্যটকরা । আমরা এই অভিযানে সংগৃহীত তথ্যের উপর প্রস্তাবিত রুট নির্ধারণ করে বন দফতরের হাতে তুলে দেব। পাশাপাশিস এই অভিযানে স্থানীয় মানুষের আর্থ সামাজিক পরিবেশ , হিমাচল প্রদেশের আদলে হোম স্টের মাধ্যমে পর্যটন পরিকাঠামোর উন্নয়নের সম্ভাবনা এবং এলাকায় প্রাণী ও উদ্ভিদের বিশদ তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে । যা আগামীদিনে পর্যটন পরিকল্পনায় নতুন দিশা দেখাতে পারে।’’

বাঁকুড়া দক্ষিন বনবিভাগের ডিএফও ই বিজয় কুমার বলেন, “ দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম সেরা জঙ্গল বাঁকুড়ার বারো মাইল জঙ্গল । এই জঙ্গলে পর্যটনের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে । প্রকৃতিপ্রেমী সংগঠনটির তরফে ট্রেকিং রুটের প্রস্তাব এলে সবদিক খতিয়ে দেখে অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’’

tourism trekking bankura

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}