চলছে সভা। নিজস্ব চিত্র।
আগামী অর্থবর্ষের (২০২৩-২৪) জন্য পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বাজেট পেশ হল পুরুলিয়া জেলা পরিষদে। সোমবার জেলা পরিষদের সাধারণ সভায় এই খাতে ৪৫ কোটি টাকার বাজেট পেশ হয়েছে বলে জেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়। জেলা পরিষদের এক আধিকারিক জানান, এই খাতে বরাদ্দ অর্থ দু’ভাবে খরচ করা যায়। বরাদ্দের একাংশ, যা ‘বিমুক্ত তহবিল’ হিসেবে পরিচিত তা নিকাশি ও জলের জন্য খরচ করা হয়। বাকি বরাদ্দ গ্রামীণ পরিকাঠামো নির্মাণে ব্যয় করা হয়। জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ অজিত বাউরি বলেন, “পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দের নিরিখে চলতি অর্থবর্ষের বাজেট সাধারণ সভায় পাশ হয়েছে।”
জেলা পরিষদ সূত্রে খবর, যে সব পঞ্চায়েত এলাকায় কোনও কমিউনিটি হল নেই, এই খাতে বরাদ্দ অর্থে সেখানে হল নির্মাণকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, কঠিন ও তরল বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা প্রকল্প গড়ে তোলার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সাধারণ সভায় পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দের বাজেট পেশ হয়েছে। ৪৫ কোটি টাকার বাজেট পাশও হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, পঞ্চায়েত এলাকায় নিদেনপক্ষে একটি কমিউনিটি হলের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজনে মানুষজনকে মণ্ডপ বাঁধতে হয়। তার খরচও অনেক। কমিউনিটি হল থাকলে সেই সমস্যা মিটবে। তাঁর কথায়, “জনবসতি বাড়ায় পঞ্চায়েত এলাকাতেও এখন বর্জ্যের পরিমাণ বাড়ছে। তার জন্য নিয়মিত সাফাই ব্যবস্থা চালু থাকা প্রয়োজন। আবর্জনা সংগ্রহের জন্য গাড়ি কিনতে অর্থ দেওয়া হবে বা যাঁরা সেই প্রকল্পের কাজ দেখভাল করবেন, সাময়িক তাঁদের সহায়তা দেওয়ার বিষয়টিকে বাজেটে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যদিও পরবর্তী কালে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতকেই বিষয়টি দেখভাল করতে হবে।”
এ ছাড়া, রাস্তাঘাট সংস্কার, পানীয় জল সরবরাহের বিষয়গুলিকেও বাজেটে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সভাধিপতি জানান, সম্প্রতি পথশ্রী-রাস্তাশ্রী প্রকল্পে জেলার প্রায় সব পঞ্চায়েত এলাকারই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা তৈরির কাজের সূচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ ছাড়া, অন্য রাস্তা যেগুলির সংস্কার প্রয়োজন বা কোথাও কালভার্ট তৈরির প্রয়োজন থাকলে, তা-ও গুরুত্ব দেওয়া হবে। সঙ্গে যত দিন না বাড়ি বাড়ি নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছচ্ছে, গ্রামে পানীয় জল সরবরাহের বিষয়টিও অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে। পুকুর সংস্কার ও ক্ষুদ্র সেচের কাজকর্মও তালিকায় আছে।
সাধারণ সভার বাজেট বৈঠকে ছিলেন বিধায়ক রাজীবলোচন সরেন, জেলা পরিষদের মেন্টর অঘোর হেমব্রম, কো-মেন্টর জয় বন্দ্যোপাধ্যায়, সহকারী সভাধিপতি প্রতিমা সরেন সহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ, সদস্য এবং বিভিন্ন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) আদিত্য বিক্রম এম হিরানিও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy