প্রতীকী ছবি
বধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার পরে দেহ কুয়োয় ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। নিহতের নাম প্রতিমা পান্ডে (২২)। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১০ জুন ভোরে তাঁর শ্বশুরবাড়ি পুরুলিয়ার মফস্ সল থানার ক্ষুদিবাঁধ গ্রামে। প্রতিমাদেবীর বাবা নির্মল পাণ্ডের অভিযোগের ভিত্তিতে নিহতের স্বামী শ্যামল পান্ডেকে শনিবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে দু'দিন পুলিশের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে পুরুলিয়া আদালত।
প্রতিমাদেবীর পরিবারের অভিযোগ, এক লক্ষ টাকা চেয়ে তাঁর উপরে অত্যাচার চালাচ্ছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন। টাকা আনতে না পারায় প্রতিমাকে খুন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরুলিয়া মফস্সল থানা এলাকার খজদা গ্রামের বাসিন্দা প্রতিমার সঙ্গে শ্যামলের বিয়ে হয়েছিল বছর চারেক আগে। নির্মলবাবু জানান, দেখাশোনা করেই তিনি মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন। তবে প্রতিমাদেবী সম্প্রতি তাঁদের কাছেই ছিলেন। দিন দশেক আগে তিনি শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন।
নির্মলবাবুর দাবি, “গত ১০ জুন ভোরে জামাইয়ের দাদা ফোনে জানান, প্রতিমাকে রাত থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মেয়ের শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তখন ওর শ্বশুর ফোন করে আমাকে জানান, প্রতিমা কুয়োয় পড়ে গিয়েছে।”
দমকলে খবর দিলে দমকলকর্মীরা প্রতিমাদেবীর দেহ কুয়ো থেকে উদ্ধার করেন। নির্মলবাবুর দাবি, ‘‘সে দিনই শুনি, মেয়ে ওর মায়ের কাছে বলেছিল, বাপেরবাড়ি থেকে এক লক্ষ টাকা আনার জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকজন ওকে চাপ দিয়েছে। পুজো করে সংসার চালাই। মেয়ের বিয়েতে যৌতুকও দিয়েছিলাম।”
তাঁর অভিযোগ, “বিয়ের এক বছর পরেই টাকা চেয়ে মেয়ের উপরে মানসিক নির্যাতন শুরু করে ওরা। জামাই-ই মেয়েকে শ্বাসরোধ করে মেরে কুযোয় ফেলে দিয়েছিল বলে মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমাদের জানিয়েছে।”
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনায় প্রতিমাদেবীর শ্বশুরবাড়ির আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তাঁর বাবা। অভিযুক্তেরা পলাতক। পুলিশের দাবি, প্রতিমাকে মেরে সে কুয়োয় ফেলে দিয়েছিল বলে জেরায় স্বীকার করেছে শ্যামল। তবে চেষ্টা করেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ঘটনার তদন্ত চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy