প্রতীকী ছবি।
দ্রুত করোনা পরীক্ষার জন্য কলকাতা এবং রাজ্যের অন্য একাধিক জেলার সঙ্গে বীরভূমেও র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হয়েছে। সেই র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টেই রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ফের দু’জনের পজিটিভ রিপোর্ট এল। এঁদের মধ্যে মেডিসিন বিভাগে আইসোলেশনে ভর্তি থাকা রোগীও আছেন। অন্য জন হাসপাতালের লিফটম্যান। এর আগেও মেডিক্যালে করোনা সংক্রমণের হদিস মিলেছে। সব মিলিয়ে এই হাসপাতাল চিন্তা বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্য কর্তাদের। বিশেষত, যেখানে হাসপাতালে উপরে রোগীর চাপ যথেষ্টই।
বৃহস্পতিবার থেকে মেডিক্যালে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার মেডিসিন এবং প্রসূতি বিভাগে ভর্তি থাকা রোগী সহ হাসপাতালের কয়েক জন কর্মী নিয়ে মোট ৩৫ জনের র্যাপিড টেস্ট হয়। দুজনের রিপোর্ট পজিটিভ হয়েছে। রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলাতেও পুরসভা এলাকা এবং রামপুরহাট ১ ব্লক ও রামপুরহাট ২ ব্লকে র্যাপিডটেস্ট করা হয়।
রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা সূত্রে জানা গিয়েছে, র্যাপিড টেস্ট করার জন্য হাসপাতালে ৫০০ কিট এসেছে। ৩০০ কিট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেখে দেওয়া হয়েছে। বাকি ২০০ কিট রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য জেলার এক আধিকারিক জানান, কন্টেনমেন্ট এলাকায় কেবলমাত্র সন্দেহজনকদের র্যাপিড টেস্ট করা হচ্ছে।
অন্য দিকে, জেলায় করোনা আক্রান্তের তালিকায় যোগ হয়েছে পুরসভার কাউন্সিলরের নাম। বৃহস্পতিবার রাতে নলহাটি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তহিদ শেখ এর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট হয়েছে। রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে নলহাটি পুরসভার এক কর্মী এবং তাঁর স্ত্রী করোনা আক্রান্ত হন।
বৃহস্পতিবার রাতে নলহাটি পুরসভা এলাকায় ভাইস চেয়ারম্যান সহ ৮ জনের পজিটিভ ধরা পড়ে।
জেলার ছটি পুরসভার মধ্যে রামপুরহাটে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ পেরিয়েছে। নলহাটি পুরসভায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। নলহাটি পুরসভায় মোট করোনা আক্রান্ত ১১ জন। নলহাটির পুরপ্রধান রাজেন্দ্রপ্রসাদ সিংহ জানান, ইদ পরের দিন থেকে পুরসভা এলাকায় বাজার, ওষুধের দোকান, ফলের দোকানে আসা লোকজনদের টেস্ট করা শুরু হবে। বাইরে থেকে আসা
ভ্যানচালকদেরও টেস্ট করা হবে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, নলহাটি ১ ব্লকের সরেহা গ্রামে সিকিম থেকে আসা এক সেনাবাহিনীর কর্মীর বৃহস্পতিবার রাতে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত ৩০৬ জন। এঁদের মধ্যে তারাপীঠ সংলগ্ন সেফ হোমে ৭২ জন ভর্তি আছেন। রামপুরহাটের কোভিড হাসপাতালে ২১ জন ভর্তি।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy