হাসপাতালে ভর্তি বিলকিস বানু। —নিজস্ব চিত্র
পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে, অভিযোগ না নিয়ে উলটে অভিযোগকারী মহিলাকে থানার মধ্যে মারধরের অভিযোগ উঠল!
অভিযুক্ত রামপুরহাট থানার মহিলা সাব ইন্সপেক্টর। অভিযোগকারী, রামপুরহাট পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিলকিস বানুর দাবি, তাঁকে থানায় আট ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। ব্যক্তিগত জামিন নিয়ে বর্তমানে তিনি রামপুরহাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর পরিবার এই ঘটনায় মহকুমা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে। সোমবার সকালে মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত আবেদন জানান তাঁরা। ঝুমুর সিংহ নামে রামপুরহাট থানার ওই মহিলা সাব ইন্সপেক্টরের ফোন বেজে গেলেও, তিনি ফোন ধরেননি। রামপুরহাট থানার আইসি স্বপন ভৌমিক বলেন, ‘‘থানার মধ্যে দুই মহিলা ঝগড়া করছিল। পুলিশ দু’পক্ষকে সরিয়ে দিয়েছে। মারধরের অভিযোগ ঠিক নয়। অভিযোগ নেওয়া হয়নি, এই অভিযোগও ঠিক নয়।’’
রামপুরহাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিলকিস বানু এ দিন জানান, দীর্ঘ দিন ধরে বোনের সঙ্গে পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে তাঁর ঝামেলা চলছে। রবিবার সকালে এই নিয়ে বোন তাঁকে বাড়ির ভিতর ডেকে নিয়ে মারধর করেন। পাড়ার লোকজন উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এরপরেই তিনি থানায় যান।
বিলকিস বলেন, ‘‘ওই ঘটনার পরে রামপুরহাট থানায় অভিযোগ করতে যাই। তখন দেখি সেখানে বোন, দুই বোনঝি এবং জামাই রয়েছে। আমি থানার ভিতর এক মহিলা অফিসারের সঙ্গে কথা বলতে গেলে আমাকে চড় মারে। পরে অপমানজনক কথা বলে। প্রতিবাদ করতে গেলে উলটে রুল দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারধর করে। থানায় আটঘণ্টা আটকে রাখে। সন্ধ্যায় উকিল এলে ব্যক্তিগত জামিন নিয়ে থানা থেকে ছাড়া পাই।’’
বিলকিস বানুর বড় ছেলে সব্যসাচী ইসলাম এ দিন বলেন, ‘‘মা নিউরো রোগী। শারীরিক দিক থেকেও খুব কমজোর। অথচ অভিযোগ না নিয়ে থানার একজন অফিসার মাকে মারধর করেছেন। থানা থেকে নিয়ে আসার পরে মাকে রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার তদন্তের দাবিতে রামপুরহাট মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ জানান হয়েছে।’’
এসডিও সুপ্রিয় দাস জানান, তিনি অফিসের কাজে কলকাতায় রয়েছেন। বলেন, ‘‘অভিযোগ না দেখে মন্তব্য করতে পারব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy