একদিনের ব্যবধানে মাদক পাচার চক্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে সাতজনকে গ্রেফতার করল ঝালদা থানার পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে মোট ২৫ কেজি গাঁজা আটক করা হয়েছে। বাঁকুড়া শহরেও গাঁজা বিক্রিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে পুলিশ আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। ওই গাঁজার মূল্য বেশ কয়েক লক্ষ টাকা।
সোমবার রাত দেড়টা নাগাদ ঝালদা-বাঘমুণ্ডি রাস্তা থেকে একটি গাড়িকে আটক করা হয়। পুরুলিয়ার জেলা পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার জানিয়েছেন, সেই গাড়ি থেকেই গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। গাড়িতে থাকা পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাঁদের মধ্যে দু’জন ঝাড়খণ্ডের ধানবাদের বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে পুলিশের কাছে খবর আসে যে একটি সাদা রঙের গাড়ি ঝালদা-বাঘমুণ্ডি রাস্তা ধরে ঝালদার দিকে আসছে। খবর পেয়েই ঝালদা থানার পুলিশ ওই রাস্তায়, ঝালদা শহরের মুখে যেখানে দু’ভাগ হয়েছে, সেখানে ওঁত পেতে ছিল। ওই রাস্তা ধরে ঝালদা পুরশহরকে এড়িয়ে চাষমোড়-তুলিন রাজ্য সড়ক ধরে কিংবা বেগুনকোদর হয়ে চাষমোড়ে পৌঁছে যাওয়া যায় বলে পুলিশ ওই মোড়ে অপেক্ষা করছিল। চাষমোড়ের খুব কাছেই ঝাড়খণ্ড সীমানা। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে এই রাস্তা দিয়েই গাড়িটি ঝাড়খণ্ডের দিকে বেরিয়ে যেত। ওই গাড়িতে ঝাড়খণ্ডের রেজিষ্ট্রেশন নম্বর ছিল।
গাড়ি আটকের পর তল্লাশি করে পুলিশ ২৫ কেজি পরিমাণ গাঁজা মেলে। গাড়ির পাঁচ যাত্রীকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতেরা হল শেখ ইনরোজ, শেখ সাদ্দাম, শেখ আরশাদ, সঞ্জয় রেওয়ানি ও দীপক সিংহ। প্রথম তিনজন ঝালদার বাসিন্দা। অন্য দু’জন ঝাড়খণ্ডের ধানবাদের বাসিন্দা। ধৃতদের মঙ্গলবার পুরুলিয়া আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের চারদিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
গত রবিবার জামশেদপুর-বোকারো জাতীয় সড়কে বলরামপুর থানা এলাকার দাঁতিয়া চোকপোস্টে একই ভাবে একটি গাড়িকে সন্দেহজনক ভাবে আটক করে পুলিশ। সেই গাড়ি থেকে প্রায় ৩৭ কেজি গাঁজা আটক করা হয়। বিজয় কুমার নামে ধানবাদ জেলার কাতরাসগড় থানা এলাকার এক যুবককে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। পুলিশের কাছে কিছুদিন ধরেই খবর ছিল, আন্তঃরাজ্য মাদক পাচার চক্রের চাঁইরা ঝাড়খণ্ডে তাঁদের কারবার চালাতে বাংলার সীমানা লাগোয়া পুরুলিয়ার রাস্তা ব্যবহার করছে।
কিছুদিন আগে ঝাড়খণ্ড পুলিশের সঙ্গে এ রাজ্যের পুলিশের একটি সমন্বয় বৈঠকও হয়। সেই বৈঠকেও সীমানা লাগোয়া এলাকায় অপরাধ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। তারপরে ঠিক হয় দু’রাজ্যের পুলিশই অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ও অপরাধ রোখার প্রশ্নে নিজেদের মধ্যে তথ্য আদানপ্রদান করবে। এই চক্রের জাল কতদূর বিস্তৃত বা কোথা থেকে গাঁজা আনা হচ্ছিল, তা জানতে চাওয়া হলে পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। কোথা থেকে গাঁজা আনা হচ্ছিল বা কারা জড়িত রয়েছে তা জানতে ধৃতদের জেরা করা হবে।
গাঁজা বিক্রির অভিযোগে দুই যুবককে ধরল পুলিশ। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া সদর থানার পাতাকোলা এলাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবক শেরাফত দালাল ও আমির উদ্দিন আনসারি বাঁকুড়া শহরের কেঠারডাঙা এলাকার বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, রাতে ওই দুই যুবক পাতাকোলা এলাকায় গাঁজা বিক্রি করছিলেন। তল্লাশি চালিয়ে হাতেনাতে পুলিশ তাঁদের ধরে। ধৃতদের কাছ থেকে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা মূল্যের ২৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy