বোলপুর স্টেডিয়ামের মাঠে তৃণমূলের কর্মিসভায় বক্তব্য রাখছেন ফিরহাদ হাকিম। শুক্রবার ছবিটি তুলেছেন বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।
তৃণমূলের কর্মী সম্মেলনেও সেই নোট-কাণ্ডের ছায়া। বলা ভাল, গোটা সম্মেলনটাই আবর্তিত হল কেন্দ্রীয় সরকারের এই নীতির সমালোচনা ঘিরেই। তা সে কর্মী-সমর্থক, জনপ্রতিনিধি মিলিয়ে আমন্ত্রিত ৩৫ হাজার লোককে খাওয়ানো হোক, আর প্রধানমন্ত্রীকে নিশানায় রাখা হোক!
বৈঠকে উপস্থিত বীরভূমের পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম থেকে শুরু করে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি সুব্রত বক্সী— সকলেই দলনেত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরেই নোট-নীতির জন্যে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রীকে। নির্ধারিত সূচি মেনে শুক্রবার সকাল এগারোটায় বোলপুর স্টেডিয়াম মাঠে শুরু হয় বীরভূম এবং বর্ধমানের ১৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের কর্মী সম্মেলন। সেখানে ছিলেন পঞ্চায়েতের সকল স্তরের দলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং কর্মীরা।
মঞ্চ থেকেই অনুব্রত ঘোষণা করেন ৩৫ হাজার মানুষের খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। কোনও হুড়োহুড়ি নয়। শৃঙ্খলারক্ষা করে সকলে খেয়ে ফিরবেন। বাতিল নোটের বাজারে টাকাপয়সা নিয়ে যেখানে এত সমস্যা, সেখানে এত লোকের আয়োজন কী ভাবে হল? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অনুব্রত বলেন, “ধারেই তো সমস্ত ব্যবস্থা হয়েছে।” মেনুতে ছিল— ভাত, ডাল, সব্জি, ডিমের কারি আর শেষপাতে ছিল চাটনি। তৃণমূলের এক নেতার কথায়, ‘‘নোটের সমস্যার জন্যেই তো ইচ্ছে থাকলেও পাঁপড়, মিষ্টি দেওয়া গেল না!’’
সম্মেলনে ফিরহাদ বাতিল নোট নিয়ে মানুষের হয়রানির কথা উল্লেখ করে দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রীর তৎপরতার কথা তুলে ধরেন। ফিরহাদের কথায়, ‘‘আমাদের তো কালো টাকা নেই। আমরা সবাই কালো টাকার বিরুদ্ধে। কিন্তু, পর্যাপ্ত পরিকাঠামো ছাড়াই একটা তুঘলকি সিদ্ধান্ত নিয়েছন মোদীজি। কিন্তু, এটা তো বুঝতে হবে আমাদের দেশের অর্থনীতি গ্রেট ব্রিটেন, আমেরিকার মতো নয়।’’ স্থানীয় আদিবাসী, গ্রামের বাসিন্দাদের হয়রানির প্রসঙ্গ তুলে ফিরহাদ যোগ করেন, “এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদেই আমরা পথে নেমেছি। আমরা সাধারণ মানুষের পাশে আছি।’’
বীরভূমে দলের সংগঠন শক্ত ভিতের উপরে দাঁড়িয়ে, তার উল্লেখ করেও সর্বভারতীয় সভাপতি সুব্রত বক্সীর স্পষ্ট বার্তা, ‘‘মানুষকে অত্যাচার করে ফুলেফেঁপে ওঠা কোনও তৃণমূল কর্মী আমাদের দলে টিকে থাকতে পারবে না।” অনুষ্ঠানে বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল সামনে পঞ্চায়েত ভোটের কথা মনে করিয়ে দেন। তাঁর কথায়, ‘‘বীরভূম এবং বর্ধমানের ১৪টি বিধানসভার ৪৯টি জেলা পরিষদ, এবং সমস্ত পঞ্চায়েত সমিতি, গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়ের জন্যে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ঝাঁপাতে হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy