রঘুনাথপুর থানার ঝাড়ুখামার মোড়ের কাছে। নিজস্ব চিত্র
অটো ও ছোট গাড়ির মুখোমুখি ধাক্কায় মৃত্যু হল দু’জনের। জখম হয়েছেন ১৩ জন। শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়া-বরাকর রাজ্য সড়কে, রঘুনাথপুর থানার ঝাড়ুখামার মোড়ের কাছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতেরা হলেন পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের হাটন রোডের বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ দাস (৭০) ও রঘুনাথপুর থানার রঘুনাথপুর ২ ব্লকের লছিয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা সুরেশ বাদ্যকর (২৫)। তাঁরা যথাক্রমে ছোট গাড়ি ও অটোর যাত্রী ছিলেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই বৃদ্ধ ও যুবকের। দুর্ঘটনায় আহত হন অটোর ১২ জন যাত্রী। বাকি দু’জন ছোট গাড়ি ও অটোর চালক। অটোর আহত যাত্রীদের মধ্যে চার জন শিশু। সবাইকে ভর্তি করা হয় রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। দুপুরে তিন শিশু-সহ ন’জনকে বাঁকুড়া মেডিক্য়ালে স্থানান্তর করা হয়।
পুলিশ সূত্র ও ঘটনার প্রত্য়ক্ষদর্শীদের দাবি, দুর্ঘটনাটি ঘটেছে এক সাইকেল আরোহীকে বাঁচাতে গিয়ে। আসানসোলের দিক থেকে দ্রুতগতিতে আসছিল গাড়িটি। হঠাৎ এক সাইকেল আরোহী রাস্তার পাশ থেকে মাঝে চলে যান। তাঁকে পাশ কাটাতে গিয়ে সামনে দিক থেকে আসা অটোর সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা লাগে ছোট গাড়ির। রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে অটোটি। আহতদের উদ্ধার করেন স্থানীয়েরা। খবর পেয়ে রঘুনাথপুর থানার পুলিশ গিয়ে আহতদের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠায়। এ দিকে, দুর্ঘটনার জেরে ওই রাজ্য সড়কে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল ব্যাহত হয়।
পুলিশ জানাচ্ছে, রবীন্দ্রনাথবাবু পেশায় বিমা সংস্থার সার্ভেয়ার। এ দিন আসানসোল থেকে নিজের গাড়িতে তিনি পুরুলিয়া যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দুপুরে আসানসোল থেকে রঘুনাথপুরে আসেন তাঁর পরিজনেরা। অন্য দিকে, সুরেশের বাড়িতে এ দিন মনসা পুজো ছিল। পুজোর সামগ্রী কেনাকাটা করার জন্য সকালে তিনি রঘুনাথপুরে এসেছিলেন। কাজ সেরে অটোয় চেপে বাড়ি ফিরছিলেন। অটোতে থাকা ১২ জন যাত্রীর সবাই আহত হওয়ায় এত সংখ্যক যাত্রী কেন অটোয় চাপানো হয়েছিল, সে প্রশ্ন উঠছে।
তবে অটো চালকদের একাংশের মতে, রঘুনাথপুর থেকে লছিয়াড়া যাওয়ার রাস্তায় বাস চলে না। অটোই এক মাত্র ভরসা। তাই কিছু ক্ষেত্রে যাত্রীদের চাপে অনেককেই অটোয় তুলতে হয়। পুলিশ জানাচ্ছে, বড় অটোয় চালক বাদে সাত জন পর্যন্ত যাত্রী বসানো যেতে পারে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে কিছু চালক তা মানছেন না। যাত্রীরাও বাস না পেয়ে অটো চালকদের চাপাচাপি করছেন। দুর্ঘটনা এড়াতে উভয় পক্ষকেই সচেতন হতে হবে।
এসডিপিও (রঘুনাথপুর) দুর্বার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আইন অনুযায়ী কত সংখ্যক যাত্রী অটোয় চাপানো যাবে, সেটা জানিয়ে পুলিশ বহু বার অটো চালকদের সতর্ক করেছে। প্রয়োজনে ধরপাকড়ও করা হয়েছে। তার পরেও লুকিয়ে চুরিয়ে কিছু অটো চালক অনেক বেশি সংখ্যক যাত্রী তুলছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy