প্রতীকী ছবি।
সাঁইথিয়ার কল্যাণপুর গ্রামে তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে খুনের ঘটনায় পুলিশ ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত শেখ ইনসানের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
তবে, পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগও তুলেছেন তবে নিহত যুবকের বাবা শেখ সাজেদ। তাঁর দাবি, ‘‘আমার মাথার ঠিক নেই। ময়নাতদন্তের পরে ছেলের মৃতদেহ পাওয়ার জন্য সাদা কাগজে সই করে দিতে বলেছিল পুলিশ। আমি তাই করে দিয়েছি। তা নিয়ে পুলিশ কী করেছে বলতে পারব না। তবে আমাদেরই ৮-৯ জনকে ধরা হয়েছে।’’ একই অভিযোগ করেছেন নিহতের মাসি জেলেখা বিবি, আর্জিনা বিবি এবং সম্পর্কিত দাদা রাজেশ শেখ। তাঁদের দাবি, ‘‘ময়নাতদন্তের পরে মৃতদেহ নিয়ে আসার জন্য সিউড়ি হাসপাতালে যাওয়া চার জনকেও ধরা হয়।’’ রাজেশের বক্তব্য, ‘‘গ্রেফতারি এড়াতে আমরা গ্রামছাড়া হয়ে রয়েছি। সেই সুযোগে পুলিশ কাকার (নিহতের বাবা) কাছে সাদা কাগজে সই করিয়ে মর্জিমাফিক অভিযোগ লিখে নিয়েছে।’’
এ নিয়ে বীরভূমের পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ বলেন, ‘‘অভিযোগ করলে বা সই করলেই সেই মতো পুলিশ কাউকে ধরবে, তেমন নয়। একটা অপরাধ হয়েছে, তাতে যারা যুক্ত রয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, তাদেরই গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ পুলিশ আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, কল্যাণপুর এলাকায় সমাজবিরোধীদের একাধিক গোষ্ঠী রয়েছে। পুলিশি ধরপাকড় শুরু হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন লোকের উপরে চাপ তৈরি হয়েছে। সেই কারণেই এমন অভিযোগের কথা তোলা হচ্ছে কিছু মহল থেকে।
বুধবার দুপুরে ধৃতদের বীরভূমের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে তোলা হয়। তাদের মধ্যে শেখ আব্দুল হাকিম, শেখ আসিক, শেখ জসিমউদ্দিন, রেজাউল করিম, মফিজুল হক এবং শেখ এনামুলকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আর্জি জানানো হয়। বিচারক তাদের ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। বাকি ছ’জন অভিযুক্তকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। সরকারি আইনজীবী কেশব দেওয়াসী জানান, ধৃতদের বিরুদ্ধে খুন, অস্ত্র আইন, বিস্ফোরক মজুত-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy