আরজি কর মামলায় দোষী সঞ্জয়ের শাস্তি ঘোষণার দিন শিয়ালদহ আদালত চত্বরে পুলিশের নিরাপত্তা। —নিজস্ব চিত্র।
শিয়ালদহ আদালত চত্বরে সোমবার সকাল থেকে কঠোর নিরাপত্তা। শনিবারের চেয়েও দীর্ঘ ব্যারিকেড করা হয়েছে। পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা আদালত চত্বরে আছেন। মহিলা পুলিশের সংখ্যাও আগের চেয়ে বৃদ্ধি করা হয়েছে। নিরাপত্তার ঘেরাটোপে সঞ্জয় রায়কে নিয়ে আসা হয়েছে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে। সোমবারই তাঁর শাস্তি ঘোষণা করবেন বিচারক।
শনিবার আরজি কর মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে শিয়ালদহ আদালতে। সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করেছেন বিচারক দাস। সে দিনও সকাল থেকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছিল আদালত চত্বর। তবে সোমবার নিরাপত্তার কড়াকড়ি আরও বেশি। আগের দিনের চেয়ে লম্বা ব্যারিকেড করা হয়েছে। আদালতে প্রবেশের দরজার অনেকটা বাইরে থেকেই ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে। কাউকে ওই চত্বরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ঘটনাস্থলে আছেন ডিসি গৌরব লাল। এ ছাড়া কোর্ট ইনস্পেক্টর, ইনস্পেক্টর এবং এসআই পদমর্যাদার আধিকারিকেরা আদালত চত্বরে আছেন। তাঁরা নিরাপত্তার বিষয়টি দেখছেন।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার কিছু পরেই আদালতে নিয়ে আসা হয়েছে সঞ্জয়কে। প্রেসিডেন্সি জেল থেকে গ্রিন করিডর করে পুলিশের কনভয় পৌঁছয় শিয়ালদহে। গাড়ি থেকে নামিয়েই আদালতে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় সঞ্জয়কে।
আরজি কর মামলার চার্জশিটে সঞ্জয়কেই একমাত্র অভিযুক্ত বলে উল্লেখ করেছিল তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। পরে আদালত জানায়, সঞ্জয়ের অপরাধ প্রমাণিত। তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪, ৬৬ এবং ১০৩(১) ধারায়। এই ধারা অনুযায়ী সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। বিচারকই সে কথা শনিবার জানিয়ে দেন দোষীকে। সোমবার বেলা ১২টার পর বিচারক দাসের এজলাস বসবে। সঞ্জয়, তাঁর আইনজীবীর কথা শুনবেন বিচারক। নির্যাতিতার পরিবারের কথাও শোনা হবে। তার পর শাস্তি ঘোষণা হবে।
(ধর্ষণ বা শ্লীলতাহানির ঘটনায় যত ক্ষণ না অভিযুক্তকে ‘দোষী’ সাব্যস্ত করা হচ্ছে, তত ক্ষণ তাঁর নাম, পরিচয় প্রকাশে আইনি বাধা থাকে। আনন্দবাজার অনলাইন সেই নিয়ম মেনেই আরজি কর পর্বের প্রথম দিন থেকে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের নাম বা ছবি প্রকাশ করেনি। শনিবার আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করায় আমরা তাঁর নাম এবং ছবি প্রকাশ করা শুরু করছি।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy