তৃণমূলে যোগ দিলেন ওন্দা ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির ১১ জন বামফ্রন্ট সদস্য। শনিবার বাঁকুড়ার জলটাঙ্কিগড়া এলাকায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি অরূপ খাঁর উপস্থিতিতে তাঁরা তৃণমূলে যোগ দেন। এই দল বদলের জেরে বামফ্রন্ট পরিচালিত ওন্দা ব্লকের চুড়ামণিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেল তৃণমূল। পাশাপাশি, ত্রিশঙ্কু অবস্থা তৈরি হল বিজেপির দখলে থাকা রামসাগর গ্রাম পঞ্চায়েতেও।
রামসাগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ২০টি আসনের মধ্যে বিজেপির দখলে ছিল ৯টি। বামফ্রন্ট সাতটি এবং তৃণমূল চারটি আসন পেয়েছিল। ওই পঞ্চায়েতের পাঁচ জন বাম সদস্য এ দিন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। ফলে এখন ওই পঞ্চায়েতে বিজেপির এবং তৃণমূলের দখলে রয়েছে ৯টি করে আসন।
চূড়ামণিপুর গ্রামপঞ্চায়েতের ন’টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে জিতে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ক্ষমতায় এসেছিল বামফ্রন্ট। এ দিন ওই পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান-সহ চার জন তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় তৃণমূলের আসন বেড়ে হল আট। ফলে ওই পঞ্চায়েতে তৃণমূলই আপাতত সংখ্যাগরিষ্ঠ।
এ ছাড়াও ওন্দা পঞ্চায়েত সমিতির আরও দুই বামফ্রন্ট সদস্য এ দিন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এর ফলে ৩৮ সদস্যের ওই পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূলের আসন সংখ্যা বেড়ে হল ২৯টি। সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া চূড়ামণিপুর গ্রামপঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান নদিমাবিবি মল্লিক বলেন, “তৃণমূলের উন্নয়নের ধারা যাতে বজায় থাকে সেই ভেবেই দল পরিবর্তন করলাম। বামফ্রন্টে থেকে এলাকায় উন্নয়ন করা সম্ভব ছিল না।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি অরূপ খাঁ বলেন, “এমনিতেই এলাকায় বামফ্রন্টের অস্তিত্ব নেই। তবে পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির বাম সদস্যেরা আমাদের দলে আসায় উন্নয়নের কাজ আরও ভাল হবে।” ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা ডেপুটি চেয়ারম্যান মানিক মুখোপাধ্যায় বলেন, “যাঁরা তৃণমূলে গিয়েছেন তাঁরা নিজের স্বার্থের কথা ভেবেই গিয়েছেন। তবে বামফ্রন্টের সক্রিয় কর্মী তাঁরা কোনও দিনই ছিলেন না। ফলে আমাদের সংগঠনে এর প্রভাব পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy