ক্ষুদ্রশিল্পের স্বীকৃতি পেলেও মণ্ডপ শিল্পকে বাঁচানোর জন্য রাজ্য সরকারের নেই কোনও স্বতন্ত্র ঋণ প্রকল্প। এর ফলে মণ্ডপ শিল্পের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প ক্রমশ ধ্বংসের মুখে। এ ছাড়াও সরকারি ভাবে তৈরি হওয়া কমিউনিটি হল থেকে গ্রামে গঞ্জে যত্র তত্র সরকারি বিধি না মেনে তৈরি অনুষ্ঠান ভবন পারিবারিক আনুষ্ঠানিক কাজে ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। এর ফলেও প্যান্ডেল ডেকরেটার্স ব্যবসা মার খাচ্ছে এবং এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত অনেকে কাজ হারাচ্ছেন।
মণ্ডপ শিল্পের জন্য পৃথক ঋণ প্রকল্পের দাবি-সহ যত্রতত্র বেআইনি অনুষ্ঠান ভবন বাতিল করা এবং সরকারি কমিউনিটি হল পারিবারিক কাজে ভাড়া না দেওয়ার দাবি জানাল রাজ্যের পশ্চিমবঙ্গ ডেকরেটার্স সমন্বয় সমিতি। ১৮-১৯ অগস্ট রামপুরহাটে অনুষ্ঠিত বীরভূম জেলা প্যান্ডেল ডেকরেটার্স ব্যবসায়ী সমিতির ১১ তম সম্মেলনে এই নিয়ে আলোচনা করেন পশ্চিমবঙ্গ ডেকরেটার্স সমন্বয় সমিতির রাজ্য সম্পাদক নির্মল চক্রবর্তী-সহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃত্ব। সম্মেলনে কেন্দ্রীয় সরকারের পরিষেবা কর বাতিল করার দাবি-সহ ডেকরেটিং শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কোনও সরকারি কাজ, সিভিল কনট্রাক্টরদের না দেওয়ার দাবি নিয়েও আলোচনা হয়। এ ছাড়াও ক্ষুদ্র শিল্পে নাম নথিভুক্তিকরণের জন্য জেলা শিল্প আধিকারিকদের অযথা হয়রানি বন্ধ করার নিয়েও আলোচনা হয়।
দু’বছর অন্তর অনুষ্ঠিত ১১ তম জেলা সম্মেলন শেষে বীরভূম জেলা প্যান্ডেল ডেকরেটার্স ব্যবসায়ী সমিতির ৩৭ জনের কমিটি গঠিত হয়। জেলা সভাপতি হন গৌতম সেন, সম্পাদক হন অশোক মিত্র। সম্মেলনে জেলার ক্যাটারার ব্যবসায়ীরাও প্যান্ডেল ডেকরেটার্স ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে যুক্ত হন। রাজ্যের ১৯টি জেলা থেকে রাজ্য কমিটির ১০০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়া বীরভূম জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৪০০ জন প্রতিনিধি সম্মেলনে যোগদান করেন।
জাল দলিল, ধৃত। জাল দলিল ও জাল পরিচয়পত্র ব্যবহার করে জমি বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন চার ব্যক্তি। বর্ধমানের জামালপুর থানার আজাপুরের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম অরিন্দম মান্না ওরফে মিলন, জাহিউদ্দিন মির্দ্দা, হাবল শীল ও চয়ন মণ্ডল। প্রথম তিনজনের বাড়ি জামালপুরের আমড়াতে। চতুর্থজন মেমারির সালদা গ্রামের বাসিন্দা। জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেন, “ধৃত চার জন জাল ভোটার পরিচয়পত্র ও পঞ্চায়েতের জাল শংসাপত্র ব্যবহার করে আজাপুর মৌজার একটি জমি আলিপুরের এক ব্যক্তিকে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু আলিপুর আদলতের এক আইনজীবি রাজেন্দ্রকুমার যাদব ওই প্রচেষ্টা ধরতে পেরে যান। তারপরেই জামালপুর থানায় ওই ঘটনা সম্পর্কে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।” পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, গত ৭ জুলাই ওই জমি বিক্রির বায়না বাবদ প্রায় দেড় লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারক চক্র। ১৮ অগস্ট ছিল জমিটি আলিপুরের ওই ব্যক্তির নামে রেজিষ্ট্রি করার কথা ছিল। তবে তার আগেই ওই চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার অরবিন্দ মান্নাকে চার দিন পুলিশি হেফাজত ও অন্যদের ২৭ অগস্ট পর্যন্ত জেলহাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy