Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪

কাটমানি: জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে তদন্ত করবে পুলিশ, জানাল নবান্ন

সোমবার নবান্নের রাজ্য পুলিশের মুখপাত্র এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জ্ঞানবন্ত সিংহ বলেন, ‘‘কাটমানির জন্য যে ভাবে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়েছে তা কাম্য নয়। তবে যদি সত্যিই তছরুপ হয়ে থাকে, তা হলে নির্দিষ্ট ভাবে থানায় অভিযোগ দায়ের করুন। আমরা ৪০৯ ধারায় অভিযুক্ত করে তদন্ত করব।’’

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০১৯ ০১:৪৪
Share: Save:

জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এলে পুলিশ তদন্ত করে মামলা রুজু করবে বলে জানিয়ে দিল নবান্ন। প্রাথমিক তদন্তে তছরুপ প্রমাণিত হলে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হতে পারে। এই ধারা জামিন অযোগ্য শুধু নয়, দোষ প্রমাণিত হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা ১০ বছর পর্যন্ত জেল সেই সঙ্গে জরিমানা হতে পারে।

সোমবার নবান্নের রাজ্য পুলিশের মুখপাত্র এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জ্ঞানবন্ত সিংহ বলেন, ‘‘কাটমানির জন্য যে ভাবে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়েছে তা কাম্য নয়। তবে যদি সত্যিই তছরুপ হয়ে থাকে, তা হলে নির্দিষ্ট ভাবে থানায় অভিযোগ দায়ের করুন। আমরা ৪০৯ ধারায় অভিযুক্ত করে তদন্ত করব।’’

পুলিশ সূত্রের খবর, গত কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন জেলায় ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের সদস্যদের একাংশের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। গ্রামবাসীরা অনেকের বাড়ি ঘেরাও করেছেন। কেউ কেউ কাটমানির টাকা ফেরাবেন বলে টিভি ক্যামেরার সামনেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু এ ভাবে আইন ব্যবস্থা চলতে পারে না বলে মনে করছেন নবান্নের শীর্ষ পুলিশ কর্তারা। এত বিক্ষোভ হলেও শুধু উত্তর দিনাজপুরে একটি নির্দিষ্ট অভিযোগ জমা পড়েছে। সেখানকার জেলাশাসক তদন্ত শুরু করেছেন।

জ্ঞানবন্ত বলেন, ‘‘এ ভাবে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যায় না। কোনও জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে সরাসরি থানায় জানানো হোক। পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত করে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পেলে সরকারি সম্পত্তি তছরুপ ও বিশ্বাসভঙ্গের মামলা করা হবে।’’ পুলিশ জানাচ্ছে, সব চেয়ে বেশি অভিযোগ উঠছে পঞ্চায়েত স্তরের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে। তাঁরা সরকারের থেকে বেতন পান, সরকারের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গ করবেন না এই মর্মে শপথ নিয়ে কাজ করেন। সুতরাং তাঁরাও ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’। তাই ভারতীয় দণ্ডবিধি মেনে এক জন আমলা, মন্ত্রী, সাংসদ বা বিধায়কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, পঞ্চায়েত কর্তাদের বিরুদ্ধেও একই ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পঞ্চায়েত স্তরে দুর্নীতির জন্য কেন এত কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে? পুলিশ কর্তাদের একাংশ জানান, দুর্নীতি নিয়ে সরকার কোনও শিথিল মনোভাব দেখাতে চায় না। প্রাথমিক তদন্তে যদি মনে হয় অভিযোগের সারবত্তা রয়েছে, তা হলে অভিযুক্তদের ছাড় দেওয়ার প্রশ্নই নেই। তদন্তের আগে ডিএমের সঙ্গে কথা বলে এবং সাধারণ প্রশাসনের মনোভাব জেনেই পুলিশ এগোবে বলে জানাচ্ছেন ওই কর্তারা।

তবে যে ভাবে জনবিক্ষোভ দানা বাঁধছে, তাতে চিন্তিত প্রশাসন। এ নিয়ে কোনও গোলমাল যাতে না বাধে, সব পুলিশ সুপারকে তা দেখতে বলা হয়েছে। জনবিক্ষোভের জেরে যে ভাবে পুলিশকে কখনও টেবিলের তলায় বা ঝোপের মধ্যে আশ্রয় নিতে হচ্ছে, সেই পরিস্থিতিও বদলাতে চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান নবান্নের কর্তারা। তাঁরা বলেছেন, ‘‘পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা নেবে। শান্তি প্রতিষ্ঠাই হবে পুলিশের একমাত্র লক্ষ্য।’’

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

অন্য বিষয়গুলি:

Nabanna Bribery Scandal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy