ডান দিকে, রামপুরহাটের ঘটনার প্রতিবাদে নাগরিক মিছিল কলকাতায়। বাঁ দিকে, কংগ্রেসের ন্যায় যাত্রা হাওড়ায়। নিজস্ব চিত্র।
রামপুরহাটের ‘গণহত্যা’র প্রতিবাদে পথে নামল নাগরিক সমাজ। বগটুই গ্রামের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির পাশাপাশিই ছাত্র-নেতা আনিস খান বা বর্ধমানের ছাত্রী তুহিনা খাতুনদের মৃত্যুর বিচারের দাবি উঠল মিছিল থেকে। ‘এই জল্লাদের উল্লাসমঞ্চ আমার দেশ না’ লেখা ব্যানার নিয়ে প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হতে দেখা গেল মূলত বামমনস্ক বলে পরিচিত বেশ কিছু বিশিষ্ট নাগরিককে।
‘স্টুডেন্টস এগেনস্ট ফ্যাসিজ়ম’-এর ডাকে শুক্রবার বিকালে মৌলালি থেকে শুরু হয়েছিল নাগরিক মিছিল। সন্ধ্যায় জোড়াসাঁকো পর্যন্ত পৌঁছনোর পথে ক্রমশই বেড়েছে মিছিলের কলেবর। দীপ্সিতা ধর, সৃজন ভট্টাচার্য, কলতান দাশগুপ্তের মতো বাম ছাত্র ও যুব নেতৃত্ব মিছিলে থাকলেও সেখানে কোনও দলের পতাকা ছিল না। সৃজনদের বক্তব্য, এই মিছিলে কোনও দলীয় রং তাঁরা রাখতে চাননি। কিন্তু মিছিল কোনও ভাবেই ‘অরাজনৈতিক’ নয়। শুধু রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের ঘটনাই নয়, পানিহাটি বা ঝালদায় সদ্যনির্বাচিত কাউন্সিলরও সাম্প্রতিক কালে খুন হয়েছেন। এই বাংলাতেই ‘পরিবর্তন’-এর ডাক দিয়ে যাঁরা এক সময়ে হোর্ডিংয়ে মুখ দেখিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই এখন নীরব। যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার বিরুদ্ধে সব ধরনের নাগরিককে প্রতিবাদে এগিয়ে আসার ডাক দিয়েই এই মিছিল।
মিছিলে যোগ দিয়ে শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার বলেন, ‘‘সিবিআই তদন্তের উপরে আমাদের সে ভাবে আস্থা আছে, তেমনটা নয়। তদন্ত হোক, দোযীরা যাতে ধরা পড়ে ও চরম শাস্তি পায়, সেটাই আমাদের দাবি।’’ পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘এখনও যাঁরা প্রতিবাদ করেননি, আমার মনে হয় তাঁদেরও বিবেক দংশন ঠিক হবে। তাঁরাও নিশ্চয়ই মাঠে নেমে এক দিন আমাদের সঙ্গে হাঁটবেন।’’
আনিস-তুহিনার মৃত্যু থেকে শুরু করে ঝালদার কাউন্সিলর তপন কান্দুর হত্যা এবং রামপুরহাটের ঘটনার প্রতিবাদে কংগ্রেসের ডাকে আমতা থেকে কলকাতা ‘ন্যায় যাত্রা’ শুরু হয়েছে এ দিনই। পদযাত্রার শুরুতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর সঙ্গে শামিল হয়েছিলেন আনিসের বাবা সালেম খান ও তাঁর পরিবারের অন্য লোকজনও। মিছিলে ছিলেন প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভাপতি শাদাব খান-সহ দলের নানা স্তরের নেতা-কর্মীরা। কলকাতায় পদযাত্রা শেষ হওয়ার কথা কাল, রবিবার। রামপুরহাটের ‘গণহত্যা’র প্রতিবাদে আজ, শনিবার মৌলালি থেকে পার্ক স্ট্রিট পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy