শহর কলকাতার মতো বিভিন্ন জেলাতেও বেরোল বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা।
পুজোর আগেই পুজো শুরু। শহর কলকাতার মতো বিভিন্ন জেলাতেও বেরোল বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। বাংলার দুর্গাপুজোকে ‘আবহমান ঐতিহ্য’-এর তালিকায় জায়গা দিয়েছে ইউনেসকো। তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বৃহস্পতিবার মহানগরীতে শোভাযাত্রার ডাক দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ডাকে সাড়া মিলল দক্ষিণ ও উত্তরের জেলাগুলিতে। হুগলি, পূর্ব বর্ধমান ও পুরুলিয়ার পাশাপাশি শোভাযাত্রা বার হয়েছে দার্জিলিঙেও।
হুগলিতে চুঁচুড়ার বিবেকানন্দ রোডের কারবালা মোড় থেকে একটি শোভাযাত্রা বার হয়। এক তরুণীকে দুর্গা সাজিয়ে বেরোয় সেই শোভাযাত্রা। তাতে পা মেলাতে দেখা গেল দুর্গাপুজো কমিটি থেকে শুরু করে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংস্থা, ক্লাব, স্কুলের ছাত্রছাত্রী, হুগলির সাংসদ-বিধায়ক ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের। দুর্গারূপী সহেলি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দুর্গাপুজো আন্তর্জাতিক সম্মান পেয়েছে। খুবই ভাল লাগছে। এর থেকে আনন্দের আর কিছু হয় না। এ রকম বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পেরে আমিও গর্বিত। আমরা বাঙালি হিসাবেও গর্বিত।’’ মহিষাসুর সেজে সঞ্জয় ভদ্র বলেন, ‘‘শোভাযাত্রায় এসে মনে হচ্ছে পুজোর আগেই পুজো শুরু হল।’’
বৃহস্পতিবার দুপুরে বর্ধমান শহরের বড়নীলপুর মোড় থেকে সুসজ্জিত ট্যাবলো-সহ একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। ছৌনৃত্য, রণপা, আদিবাসীদের নাচ-সহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে পদযাত্রা শেষ হয় টাউন হলে। পদযাত্রায় ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, বিধায়ক খোকন দাস, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু, পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশ সরকার, জেলাশাসক প্রিয়ঙ্কা সিংলা, পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন-সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। মন্ত্রী স্বপন বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এ দিন বর্ণাঢ্য পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। পদযাত্রায় শহরের ছোট-বড় দুর্গাপুজো কমিটি ও ক্লাবের সদস্যেরাও অংশ নিয়েছেন।’’ পুরুলিয়া শহরের ভিক্টোরিয়া স্কুল থেকেও একটি শোভাযাত্রা বার হয়ে ডাক বাংলোতে গিয়ে শেষ হয়।
অন্য দিকে, শিলিগুড়ির দেশবন্ধু পাড়ার তরাই তারাপদ স্কুলের মাঠ থেকে একটি শোভাযাত্রা হয়। বিভিন্ন ক্লাবের ট্যাবলো-সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে চলে ওই শোভাযাত্রা। ঢাক বাজিয়ে তার উদ্বোধন করেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব ও ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার। গৌতম বলেন, ‘‘জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে এক ডাকে আমাদের পদযাত্রায় যোগ দিয়েছেন। কাতারে কাতারে মানুষ দেখা গিয়েছে শোভাযাত্রায়।’’ কালিম্পঙের মেলা গ্রাউন্ড থেকেও শুরু হয় শোভাযাত্রা। শহর পরিক্রমা করে টাউন হলে গিয়ে তা শেষ হয়। কালিম্পঙের জেলাশাসক আর বিমলা বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো গোটা রাজ্যেই আজ দুর্গাপুজোর হেরিটেজ স্বীকৃতিকে কেন্দ্র করে শোভাযাত্রা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy