পানশালা খোলা কিন্তু পাঠশালা বন্ধ এবং মোবাইল ডাটা রিচার্জ মাসুল বৃদ্ধির প্রতিবাদে এসএফআই-এর বিক্ষোভ —নিজস্ব চিত্র।
করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে ওঠার প্রেক্ষিতে দলের সম্মেলন প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার ভাবনাতেই আনুষ্ঠানিক সিলমোহর দিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে বৃহ্স্পতিবার সিদ্ধান্ত হয়েছে, করোনা সংক্রমণ যে চেহারা নিচ্ছে, তাতে আপাতত সম্মেলন স্থগিত রাখাই ভাল। রাজ্য সম্মেলন মার্চের তৃতীয় সপ্তাহের আগে হওয়ার সম্ভাবনা কম। পরিবর্তিত নির্ঘণ্ট ঠিক হবে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের পরে। যে বৈঠকে যোগ দিতে এ দিনই সন্ধ্যায় হায়দরাবাদ রওনা দিয়েছেন আলিমুদ্দিনের নেতারা।
দলের সম্মেলন পিছিয়ে দেওয়ার পাশাপাশিই আপৎকালীন পরিস্থিতিতে চারটি পুর-নিগমের ভোটের তারিখ পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। চিঠিতে তিনি বলেছেন, করোনা পরিস্থিতি আগামী কয়েক দিনে কেমন চেহারা নিতে পারে, সেই বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলুক কমিশন। ইতিমধ্যেই প্রার্থী ও রাজনৈতিক কর্মীদের একাংশ কোভিডে আক্রান্ত। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন করা আদৌ সম্ভব কি না, তা নিয়ে সর্বদল বৈঠক ডাকার দাবি জানিয়েছেন বিমানবাবুরা। তাঁদের বক্তব্য, কোভিড পরিস্থিতি ছাড়াই একাধিক পুরসভার নির্বাচন যখন দিনের পর দিন বকেয়া পড়ে থেকেছে, এখন অতিমারির মধ্যে ভোট করার একতরফা সিদ্ধান্ত না নিয়ে সর্বদল বৈঠক ডেকে আগে আলোচনা করুক কমিশন। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী এ দিন বলেছেন, ‘‘পুরভোটের দিনক্ষণ ঠিক করার আগে সর্বদল বৈঠক করেনি কমিশন। আমরা মতামত দেওয়ার সুযোগ পাইনি। চারটি পুর-নিগমের ভোট ২২ জানুয়ারি করতে যাওয়া উচিত হয়নি। তার উপরে এখন কোভিড। বারবার বলছি, সর্বদল বৈঠক ডাকুন। মানুষকে বিপদে ফেলবেন না এখন নির্বাচনের নাম করে!’’
কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের প্রেক্ষিতে অবশিষ্ট কয়েকটি জেলা এবং রাজ্য সম্মেলন পিছিয়ে দেওয়ার ভাবনা যে আলিমুদ্দিনের রয়েছে, সেই খবর আগেই প্রকাশিত হয়েছিল আনন্দবাজারে। আনুষ্ঠানিক ভাবে সেই মর্মেই সিদ্ধান্ত হয়েছে এ দিন। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটিরএ বারের বৈঠকে আসন্ন পার্টি কংগ্রেসের চূড়ান্ত সূচি কী হয়, তা দেখে নিয়ে রাজ্য সম্মেলনের পরিবর্তিত দিনক্ষণ ঠিক হবে। কারণ, রাজ্য সম্মেলনে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের হাজির থাকার বিষয় আছে। দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের কথায়, ‘‘বাংলা, কেরল, ত্রিপুরা, মহারাষ্ট্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের সম্মেলন বাকি। বাংলার পাশাপাশি মহারাষ্ট্র, কেরলেও কোভিড বাড়ছে। কে কী ভাবছে, কেন্দ্রীয় কমিটিতে সেটা পরিষ্কার করে বুঝে নিয়ে এখানকার রাজ্য সম্মেলনের পরিবর্তিত সূচি আবার ঠিক করা যাবে।’’
সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই এ দিনই পানশালা ৫০% খোলা কিন্তু পাঠশালা পুরো বন্ধ এবং মোবাইলের ডেটা রিচার্জ মাসুল বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে কোভিড-বিধি মেনে বিক্ষোভ কর্মসূচি করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy