বিরোধী প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়ে বিডিও অফিসে যাচ্ছেন তৃণমূল বিধায়ক পরেশরাম দাস। —নিজস্ব চিত্র
থমথমে ক্যানিং। বুধবার তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলে উত্তাল হয়ে উঠেছিল ক্যানিংয়ের হাসপাতাল মোড় এলাকা। তার রেশ কাটেনি এখনও। তবে বৃহস্পতিবার এলাকায় বাড়ানো হয়েছে পুলিশি নিরাপত্তা। জমায়েত দেখলেই তা সরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে বিরোধীরা। এর মধ্যেই ধরা পড়ল ভিন্ন ছবি। বৃহস্পতিবার বিরোধী প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করেন ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস।
বৃহস্পতিবার ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। শেষ লগ্নে ক্যানিংয়ের তিন কংগ্রেস প্রার্থী এবং এক এসইউসি প্রার্থীকে নিয়ে ক্যানিং-১ বিডিও অফিসে যান তৃণমূল বিধায়ক। পরেশরামের বক্তব্য, আরও কোনও দলের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে চাইলে তিনি নিজেই তাঁদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য বিডি অফিস পর্যন্ত পৌঁছে দেবেন। ক্যানিংয়ে বৃহস্পতিবার শান্তিপূর্ণ ছবি দেখা গেলেও মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া নিয়ে তৃণমূল এবং সিপিএমের সংঘর্ষ বাধে কুলতলিতে। তাতে দু’পক্ষের দুই কর্মীর মাথা ফেটেছে বলে অভিযোগ। আহত তৃণমূল কর্মী আবুল বাশার লস্কর এবং সিপিএম কর্মী চন্দ্রকান্ত নস্কর। আহতরা চিকিৎসাধীন জামতলা গ্রামীণ হাসপাতালে।
তবে বুধবারের সংঘর্ষের পর ক্যানিং বিডিও অফিস জুড়ে আরও কড়া নিরাপত্তা। আনা হয়েছে বাড়তি বাহিনী। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য ভিড় দেখা যায় বিডিও অফিস চত্বরে। তবে অবৈধ জমায়েত দেখলে তা সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন রাস্তার মোড়েও দেখা গিয়েছে ভিড়। এ নিয়ে ক্যানিংয়ের এসডিপিও দিবাকর দাস বলেন, ‘‘এখন সব কিছু শান্তিপূর্ণ। সকলে শান্তিপূর্ণ ভাবে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেন। কোথাও আমরা জমায়েত দেখলে তা সরিয়ে দিচ্ছি। বিরোধীদের কোনও অভিযোগ আমাদের কাছে এলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’’
বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ঘিরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ক্যানিং। বাসন্তী হাইওয়েতে তৃণমূলের দু’পক্ষের মধ্যে বোমাবাজি এবং গুলি চলার অভিযোগ ওঠে। তার জেরে দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy