—প্রতীকী চিত্র।
এক দিকে শিক্ষাবন্ধুদের বিকাশ ভবন অভিযান, অন্য দিকে ওয়েস্ট বেঙ্গল মাল্টিপারপাস ফিমেল হেল্থ ওয়ার্কারদের স্বাস্থ্য ভবন অভিযান। এই দুই অভিযানকে ঘিরে শুক্রবার দুপুরে সল্টলেকের প্রবেশপথে এবং পাঁচ নম্বর সেক্টরে উত্তেজনা ছড়ায়।
পুলিশি সূত্রের খবর, এ দিন ওই দুই সংগঠনের ৪০০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে অবশ্য তাঁদের সকলকেই ছেড়ে দেওয়া হয়। বিক্ষোভ সামলাতে জলকামান ব্যবহার করতে হয় পুলিশকে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, গায়ে হাত তোলা হয়েছে, লাঠিও চালানো হয়েছে। পুলিশের বক্তব্য, বিনা অনুমতিতে কোনও রকম মিছিল, বিক্ষোভ বরদাস্ত করা হবে না।
বেতন বৃদ্ধির দাবিতে স্বাস্থ্যকর্মীরা বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতার রাস্তায় দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে মহিলা পুলিশ দিয়ে ধর্মতলা থেকে মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় শিয়ালদহে। এ দিন সকালে সেই স্বাস্থ্যকর্মীরা আবার স্বাস্থ্য ভবন অভিযানে যান। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, সল্টলেকে অবস্থা-বিক্ষোভ শুরু করতেই পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানান, বেতন বৃদ্ধির দাবি অর্থ দফতরে পাঠানো হয়েছে। দাবিদাওয়া কার্যত মেনে নেওয়ার পরেও বিক্ষোভ হচ্ছে কেন, সেটা স্পষ্ট নয়।
সমগ্র শিক্ষা মিশনের অধীনে চুক্তিভিত্তিক কাজ করেন শিক্ষাবন্ধুরা। তাঁদের কাজ অবর স্কুল পরিদর্শকদের সঙ্গে বিভিন্ন স্কুলে পরিদর্শনে যাওয়া। বেতন বৃদ্ধির দাবিতে পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষাবন্ধু যৌথ মঞ্চের সদস্যেরা এ দিন মিছিল করে করুণাময়ীর কাছে পৌঁছতেই পুলিশ তাঁদের আটকায়। বিজেপি শিক্ষা সেলের শিক্ষাবন্ধু শাখার রাজ্য আহ্বায়ক বিভূতিভূষণ মণ্ডলের অভিযোগ, বিধাননগর পুলিশের আচরণ অমানবিক। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এপিডিআর নেতা রণজিৎ শূরের দাবি, দোষী পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করুক প্রশাসন। সব অভিযোগ খারিজ করে পুলিশ অবশ্য জানায়, মারধর বা লাঠি চালানোর মতো ঘটনা ঘটেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy