আটক: দখল করা হয় এই গাড়িই। —নিজস্ব চিত্র।
ঋণ শোধের কিস্তি বকেয়া থাকায় মাঝ রাস্তায় গাড়ির ‘দখল নেওয়া’র ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করল শ্রীরামপুর থানার পুলিশ। ওই ঘটনায় বাচিকশিল্পী ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়কে হেনস্থা হতে হয় বলে অভিযোগ।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম সমীর সিংহরায়, পরিতোষ ঘোষ এবং শেখ খুরশিদ ওরফে ভাগনা। সমীরের বাড়ি শ্রীরামপুরের তারাপুকুর গভর্নমেন্ট কোয়ার্টারে, পরিতোষ ভদ্রেশ্বরের সারদাপল্লির বাসিন্দা। আর খুরশিদ শ্রীরামপুরের বেলু মিল্কিতে থাকেন। মঙ্গলবার ধৃতদের শ্রীরামপুর আদালতে পাঠানো হলে সমীর এবং খুরশেদকে চার দিন পুলিশ হেফাজত ও পরিতোষকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
সোমবার সকালে চুঁচুড়ার একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ে ব্রততীর অনুষ্ঠান ছিল। নিজের গাড়ি ওয়ার্কশপে থাকায় যাদবপুরের প্রশান্ত ঘোষ নামে এক ব্যবসায়ীর থেকে গাড়িটি ভাড়া করেছিলেন ওই শিল্পী। ভাইকে নিয়ে এ দিন দিল্লি রোড ধরে চুঁচুড়ায় যাচ্ছিলেন তিনি। ব্রততীর নিজের গাড়ি-চালক রাজা দাসই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ গাড়ি শ্রীরামপুরে ঢোকার কিছুটা আগে রাজা বুঝতে পারেন, একটি গাড়ি তাঁদের অনুসরণ করছে। বৈদ্যবাটির দীর্ঘাঙ্গি মোড়ের কাছে পিছনের গাড়িটি ব্রততীর গাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায়। জনা পাঁচেক যুবক নেমে এসে ব্রততীদের জানান, গাড়িটির ইএমআই বাকি। তাই সেটি তাঁরা নিয়ে যাবেন।
অবশ্য ব্রততীকে চিনতে পেরে ওই গাড়িতে চাপিয়েই তাঁকে এবং ভাইকে নিজেদের চালক দিয়ে চুঁচুড়ায় পৌঁছে দেন ওই ঋণদাতা সংস্থার লোকেরাই। ক্ষুব্ধ ব্রততী বিষয়টি শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোনে জানান। কল্যাণবাবু পুলিশকে জানান। পুলিশ ভদ্রেশ্বরের একটি পার্কিং প্লেস থেকে গাড়িটি উদ্ধার করে। সন্ধ্যায় শ্রীরামপুর থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন রাজা। তার ভিত্তিতে ছিনতাই, অপহরণ-সহ নানা ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। মঙ্গলবার ভোরে ওই তিন জনকে ধরা হয়। কমিশনারেটের বক্তব্য, জেরায় সমীর জানিয়েছেন, কমিশনের ভিত্তিতে ঋণদাতা সংস্থার হয়ে তাঁরা কাজ করেন। গাড়ি দখলের সময় সমীরের সঙ্গে আরও কয়েক জন ছিলেন। তাঁদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy