Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪

ষোড়শীর বিয়ে রুখতে গিয়ে হামলার মুখে

প্রথমে গালিগালাজ-ধাক্কাধাক্কি, শেষে মারধরের উপক্রম! এক ষোড়শীর বিয়ে ঠেকাতে গিয়ে হামলার মুখে পড়লেন পুলিশ-প্রশাসনের প্রতিনিধিরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দাসপুর শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৩:০৪
Share: Save:

প্রথমে গালিগালাজ-ধাক্কাধাক্কি, শেষে মারধরের উপক্রম! এক ষোড়শীর বিয়ে ঠেকাতে গিয়ে হামলার মুখে পড়লেন পুলিশ-প্রশাসনের প্রতিনিধিরা।

রবিবার এই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে। গোলমাল চলাকালীন মেয়ের বাড়ির লোকজন এক সিভিক ভলান্টিয়ারের মোবাইল কেড়ে নেয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি দেখে পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে আশ্রয় নেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে আনে। দাসপুর ২-র বিডিও অনির্বাণ সাহু বলেন, “পরিজনেদের থেকে মুচলেকা লিখিয়ে ওই নাবালিকার বিয়ে অবশ্য আটকে দেওয়া হয়েছে। তবে প্রশাসনের প্রতিনিধিদের কেন হেনস্থা করা হল, তা দেখা হচ্ছে।” পুলিশও তদন্ত শুরু করেছে।

রবিবারই বিয়ে ছিল দাসপুর ২ ব্লকের জোতঘনশ্যাম গ্রামের দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর। সব আয়োজন সারা। বিকেল নাগাদ চাইল্ড লাইন ও পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান যুগ্ম বিডিও পরিমল সাহু। মেয়েটির সঙ্গে কথা শেষে বাবা-মায়ের সঙ্গে যখন আলোচনা হচ্ছে, তখনই একাংশ আত্মীয়-পরিজন প্রশাসনের প্রতিনিধিদের ঘিরে ধরে বলে অভিযোগ। পরিচয়পত্র দেখতে চেয়ে শুরু হয় গালিগালাজ, ধস্তাধস্তি।

যুগ্ম বিডিও বলেন, “মেয়ের বাবা-মা বিয়ে বন্ধে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন। মুচলেকা লেখানোর ঠিক আগে আমাদের উপর হামলা হয়। প্রাণভয়ে পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে আশ্রয় নিই।” মেয়েটির বাবা পরে বলেছেন, “ভাল পাত্র পেয়ে বিয়ে দিচ্ছিলাম। পরে ভুল বুঝেছি।”

অন্য বিষয়গুলি:

teenage Marriage Police Rage
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE