—ফাইল চিত্র।
জিয়াগঞ্জে সপরিবার শিক্ষক খুনের কিনারায় মোবাইল ‘টাওয়ার ডাম্প’ প্রক্রিয়ার সাহায্য নিল জেলা পুলিশ ও সিআইডি। ওই পদ্ধতিতে একটি নির্দিষ্ট মোবাইল টাওয়ারের অধীনস্থ এলাকায় নির্দিষ্ট সময়ে কোন কোন মোবাইলের নম্বরে ফোন গিয়েছে বা এসেছে, তা চিহ্নিত করা যায়।
সিআইডি সূত্রের খবর, এই পদ্ধতিতে দশমীতে জিয়াগঞ্জের খুনের ঘটনার আগে ও পরের কয়েক ঘণ্টায় ওই এলাকার কোন কোন মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করা হয়েছে বা কল রিসিভ করা হয়েছে, তার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। যা ব্যবহার করে ইতিমধ্যেই সন্দেহভাজন কয়েক জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। শুক্রবার রাত থেকে ওই কয়েক জনকে লাগাতার জেরা করছেন পুলিশের আধিকারিকরা। ওই তালিকায় মৃত বন্ধুপ্রকাশ পালের পরিচিত এক জন রয়েছেন বলে গোয়েন্দা সূত্রের খবর।
দশমীর দিন যে সময়ে পরিবারটি খুন হয়েছে বলে অনুমান, সেই সময়ের আগে ও পরে ‘টাওয়ার ডাম্প’ সফটওয়্যার ব্যবহার করে প্রথমে কয়েকশো নম্বরের সন্ধান মিলেছিল। যা থেকে কয়েকটি নম্বর পৃথক করা হয়েছে। এর পরেই বেশ কয়েক জনকে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ চলেছে। ওই পদ্ধতির সাহায্য নিয়েই ২০১৫ সালে রানাঘাটের ধর্ষণকাণ্ড এবং ডাকাতির ঘটনায় সাফল্য পেয়েছিল সিআইডি।
শুক্রবার সিআইডির স্পেশ্যাল সুপার ইন্দ্র চক্রবর্তীর নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। এক কর্তা জানান, ‘টাওয়ার ডাম্প’-এর সঙ্গেই শিক্ষকের বাড়ির পরিচারিকা, ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের বিস্তারিত তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ঘটনার দিন তাঁরা কোথায় ছিলেন তার খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে শিক্ষক পরিবারের সোশ্যাল সাইটও খতিয়ে দেখা হয়েছে।
গোয়েন্দাদের অনুমান, পরিবারের পরিচিত কেউ ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের সন্দেহ, ঘটনার দিন পরিচিত কেউ প্রথমে ওই বাড়িতে ঢুকেছিল। তার পিছনে ছিল বাকি দুষ্কৃতী। ফলে কেউ তাদের বাধা দেয়নি। আর ওই সূত্রের খোঁজেই স্থানীয় দুষ্কৃতীদের জেরার পাশাপাশি বীরভূম ও মুর্শিদাবাদের অপরাধ জগতের সঙ্গে যুক্ত দুষ্কৃতীদের খোঁজ করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy