২৬ জানুয়ারি সরস্বতী পুজোর পরের দিন ভার্চুয়াল মাধ্যমে বেলা ১১টা থেকে শুরু হবে মোদীর পরামর্শ দেওয়ার কর্মসূচি। ফাইল চিত্র।
মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক-সহ সব বোর্ডের পরীক্ষার্থীদের ‘সাজেশন’ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফি বছর পরীক্ষার আগে এমন পরামর্শ দেওয়ার কর্মসূচি ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ শুরু হয় ২০১৮ সালে। এ বার সেই কর্মসূচি হবে প্রজাতন্ত্র দিবসের পরের দিনেই। ২৬ জানুয়ারি সরস্বতী পুজো হওয়ায় বাংলায় পরের দিনটিও ছুটিই থাকে। সেই দিনই ভার্চুয়াল মাধ্যমে বেলা ১১টা থেকে শুরু হবে মোদীর পরামর্শ দেওয়ার কর্মসূচি। এই কর্মসূচি পুরোপুরি বিজেপির। আর তা সফল করতে রাজ্য বিজেপির কাছে ইতিমধ্যেই নির্দেশ এসে গিয়েছে। তার জন্য প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। ২০২৩ সালের ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ কর্মসূচিতে নতুন কিছু বিষয়ও ঢোকানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পরীক্ষাকে কী ভাবে দেখা উচিত, পরীক্ষার সময় পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের কী কী করা উচিত, সে বিষয়ে একটি বইও লেখেন মোদী। ‘এগ্জ়াম ওয়ারিয়র্স’ নামের সেই বইতে পরীক্ষাকে খুব দুশ্চিন্তার বিষয় না করে উৎসবের মতো করে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন লেখক মোদী। অতীতে এই রকম অনুষ্ঠানে তাঁর বক্তব্যে বার বার উঠে এসেছে পরীক্ষা নিয়ে ভয় দূর করার বিভিন্ন কথা। তাতে অনেক মনীষীর উদাহরণও দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। নিজের বইতে পরীক্ষা নিয়ে পড়ুয়াদের জন্য ২৮টি মন্ত্র এবং অভিভাবকদের জন্য ছ’টি মন্ত্রের উল্লেখও করেছেন তিনি। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু পড়ুয়া বা অভিভাবক নয়, আগামী ২৭ জানুয়ারি শিক্ষকদেরও পরীক্ষার বিষয়ে পরামর্শ দিতে চান প্রধানমন্ত্রী।
রাজ্য বিজেপির কাছে দিল্লির নির্দেশ, যত বেশি সম্ভব স্কুলে বড় স্ক্রিন লাগিয়ে অনুষ্ঠান সম্প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারি স্কুলে সম্ভব হবে না বুঝে ইতিমধ্যেই রাজ্য বিজেপি বিভিন্ন বেসরকারি স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ স্কুলগুলিতেও এই কর্মসূচি সফল করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন জেলা শহরে কোনও মাঠ বা অন্যত্র এক ঘণ্টার এই অনুষ্ঠান দেখানো যায় কি না, তা-ও ভাবা হচ্ছে। সর্বত্রই নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির কমপক্ষে ৫০০ জন পড়ুয়াকে উপস্থিত রাখার পরিকল্পনা।
কেন্দ্রীয় বিজেপির তরফে রাজ্যকে বলা হয়েছে, প্রতিটি জায়গায় যাতে সাংসদ, বিধায়ক বা অন্য জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকতে পারেন সেটা নিশ্চিত করতে হবে। কেন্দ্রীয় বিজেপি এর জন্য রাজ্য স্তরে তিন জনের কমিটি তৈরি করতে বলেছে। জেলা স্তরেও একই ভাবে কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের কমিটির মাথায় রয়েছেন দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তা।
এই কর্মসূচির আগাম প্রচারের জন্য ২০ জানুয়ারি রাজ্য জুড়ে পরীক্ষার্থীদের নিয়ে একটি অঙ্কন ও কলা প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে বলা হয়েছে। সফলদের সার্টিফিকেট দেওয়ার পাশাপাশি জেলা স্তরের এই প্রতিযোগিতা কেমন হল, কারা পুরস্কার পেলেন, সে সব তথ্য ও ছবি নমো অ্যাপে আপলোড করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে মোদীর লেখা ‘এগ্জ়াম ওয়ারিয়র্স’ বই বিলিরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy