প্রকাশ জাভড়েকর।
শুধু ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট বা নেট পাশ করলেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর সুযোগ মিলবে না। ২০২১-’২২ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের ক্ষেত্রে পিএইচ ডি ডিগ্রি বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে বলে বুধবার দিল্লিতে জানিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, কলেজে পড়ানোর ক্ষেত্রে অ্যাকাডেমিক পারফরম্যান্স ইন্ডিকেটরস বা এপিআই আর আবশ্যিক থাকছে না।
এখন স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকলে এবং নেট পাশ করলে অথবা স্নাতকোত্তর ডিগ্রির সঙ্গে পিএইচ ডি থাকলে সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকপদে আবেদন করা যায়। ‘‘কিন্তু নতুন ব্যবস্থায় পিএইচ ডি না-থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো যাবে না। তার জন্য আমরা বছর তিনেক সময় দিচ্ছি, যাতে প্রার্থীরা ২০২১ সালের মধ্যে ওই ডিগ্রি অর্জন করতে পারেন,’’ এ দিন বলেন জাভড়েকর।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি-র নতুন নিয়মবিধি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, গবেষণার জন্য কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আর জোর করা যাবে না। তাঁদের মূল কাজ পড়ানো। সেটা মন দিয়ে করতে হবে তাঁদের। সেই জন্য তাঁদের ক্ষেত্রে এপিআই আর বাধ্যতামূলক থাকছে না। অর্থাৎ কলেজে চাকরি পাওয়ার জন্য গবেষণা করা, গবেষণাপত্র প্রকাশ করা এবং নানা প্রকল্পে যুক্ত হওয়াটা আর আবশ্যিক নয়। এখন কলেজে চাকরির প্রথম ধাপটিই হচ্ছে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর। গবেষণা, গবেষণাপত্র প্রকাশ বা প্রকল্প ছাড়াই ওই পদে যোগ দেওয়া যাবে। তবে পরবর্তী কালে সিলেকশন গ্রেডে পদোন্নতির ক্ষেত্রে পিএইচ ডি ডিগ্রি অবশ্যই লাগবে। সেই নিয়মও বলবৎ হবে ২০২১ সাল থেকে। শিক্ষকদের মূল্যায়নে একটি নতুন সরল পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। পদোন্নতির ক্ষেত্রে শিক্ষকতার দক্ষতাও বিবেচিত হবে।
নিয়োগ ও পদোন্নতিতে বিধি বদলের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়ন এবং সেরা মেধাবীদের শিক্ষকতায় টেনে আনাই সরকারের লক্ষ্য। বিশ্বের সেরা ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে যে-সব ভারতীয় পড়ুয়া পিএইচ ডি করবেন, তাঁদের জন্যও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার দরজা খুলে দেওয়া হচ্ছে। এই প্রথম প্রফেসর স্তর পর্যন্ত পদোন্নতির ব্যবস্থা হচ্ছে কলেজেও।
এপিআই প্রথা চালু হয়েছিল ২০১০ সালে। গত কয়েক বছরে চার-চার বার তার নিয়মবিধি সংশোধন করা হয়েছে। এমনকি গত বছর জুলাইয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন জানিয়ে দেয়, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের গবেষণাপত্র কোন কোন জার্নালে প্রকাশিত হলে তা গ্রাহ্য হবে, সেই তালিকা তারাই তৈরি করে দেবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এ দিনের ঘোষণায় অন্তত কলেজে পড়ানোর ক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষিকারা এপিআই থেকে রেহাই পাচ্ছেন। তবে জাভড়েকর জানিয়ে দিয়েছেন, নতুন নিয়োগের পরেই কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরদের ইন্ডাকশন প্রোগ্রামে যোগ দিতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy