সীমানায় বিক্ষোভ ঝাড়খণ্ডবাসীদের। —নিজস্ব চিত্র।
ভিন্রাজ্যে আলু রফতানিতে কড়াকড়ি শুরু হওয়ায় ঝাড়খণ্ডে দাম বেড়েছে আলুর। এই পরিস্থিতিতে আলু পাঠানো না হলে সব্জির গাড়িও ঢুকতে দেওয়া হবে না জানিয়ে আন্দোলনে নামলেন ঝাড়খণ্ডের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির বাসিন্দারা। শুক্রবার সকালে এ রাজ্য থেকে পুরুলিয়ার দুয়ারসিনি সীমানা দিয়ে ঝাড়খণ্ডের উদ্দেশে যাওয়া সব্জিবোঝাই একের পর এক লরি আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। দীর্ঘ ক্ষণ পরে দুই রাজ্যের পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।
ঝাড়খণ্ড পশ্চিমবঙ্গের আলুর উপর নির্ভরশীল। এ রাজ্যে কড়াকড়ি চালু হওয়ায় ওই রাজ্যে বাজারগুলিতে আলুর দাম কিলো প্রতি ৬০ টাকা ছুঁয়েছে। এই অবস্থায় ঝাড়খণ্ডের সীমানাবর্তী এলাকার বাংলার বাজার থেকে কম দামে আলু কিনে পরিবারের চাহিদা পূরণের কথা ভেবেছিলেন। অভিযোগ, তাতেও রাজ্য পুলিশ বাধা দিচ্ছে। সীমানা পার হতে গেলেই আটকে দিচ্ছে পুলিশ।
এমনিতে পুরুলিয়ার বান্দোয়ান লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভূম জেলার সীমানাবর্তী দুমকাকোচা, নরসিংহপুর-সহ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের নিত্য যাতায়াত রয়েছে পুরুলিয়ার দুয়ারসিনি ও কুচিয়া বাজারে। অনেকে নিকটবর্তী পুরুলিয়ার বান্দোয়ান বাজারেও যান। সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডে আলুর দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় ওই বাজারগুলির উপর তাঁদের নির্ভরতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু সীমানা পেরোনোর সময় বস্তা বা ব্যাগে আলু দেখলেই তা আটকে দিচ্ছে দুয়ারসিনি চেক পোস্টে মোতায়েন থাকা পুলিশকর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে আগে কড়াকড়ি শিথিল করে ঝাড়খণ্ডে দ্রুত আলু পাঠানোর ব্যবস্থা করার দাবিতে শুক্রবার দুয়ারসিনি সীমানায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়েরা। পরে সীমানায় মোতায়েন দু’রাজ্যের পুলিশই অবরোধকারীদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় তাঁরা।
স্থানীয় দুমকাকোচা এলাকার বাসিন্দা বীরেন সিং বলেন, ‘‘আমরা ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা হলেও আমাদের নিকটবর্তী বাজার পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার অন্তর্গত। আমরা পুর্বপুরুষের আমল থেকেই পুরুলিয়া জেলার কুচিয়া ও দুয়ারসিনি বাজার থেকে সব্জি কিনে চাহিদা মেটাই। এখন সেখান থেকে সব্জির সঙ্গে আলু কিনে নিয়ে আসার সময় সীমানায় পুলিশ আটকে দিচ্ছে। আমরা এর সুস্থ সমাধান চাই। না হলে বাংলা থেকে আমাদের রাজ্যে আসা সব্জিবোঝাই গাড়িগুলিকেও আমরা ঝাড়খণ্ডে ঢুকতে দেব না।’’ অবরোধকারী সুভাষ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ আমাদের রাজ্যে আলু পাঠাচ্ছে না। অথচ সেখান থেকে টন টন সব্জি প্রতি দিন আমাদের রাজ্যে আসছে। আগে আলু না পাঠালে আমরা আমাদের রাজ্যে সব্জিও ঢুকতে দেব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy