Advertisement
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
Death

কংগ্রেস রাজনীতিতে এক অধ্যায়ের অবসান, প্রয়াত সোমেন মিত্র

বেশি রাতে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হন তিনি। রাতেই প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে টুইট করে সভাপতির প্রয়াণের কথা জানানো হয়।

সোমেন মিত্র।—ছবি সংগৃহীত।

সোমেন মিত্র।—ছবি সংগৃহীত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২০ ০৩:২০
Share: Save:

প্রয়াত হলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। বয়স হয়েছিল ৭৮। দক্ষিণ কলকাতায় একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে বুধবার গভীর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। পুরনো পেসমেকার বদল করার জন্য নার্সিং হোমে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেশি হওয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছিল। ডায়ালিসিস করতে হচ্ছিল। তবে মঙ্গলবার রাত থেকে তাঁর অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল। সোমেনবাবুর পরিবার সূত্রের বক্তব্য, বুধবার নার্সিং হোমে তিনি হাঁটাচলা করেছিলেন। পরিজন ও শুভানুধ্যায়ীদের সঙ্গে কথাও বলেছিলেন। কিন্তু বেশি রাতে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হন তিনি। রাতেই প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে টুইট করে সভাপতির প্রয়াণের কথা জানানো হয়।

আমহার্স্ট স্ট্রিটের ‘ছোড়দা’ নামে কংগ্রেস রাজনীতিতে বেশি পরিচিত ছিলেন সোমেনবাবু। প্রয়াত বরকত গনিখান চৌধুরীর শিষ্য বলা হত তাঁকে। অধুনালুপ্ত শিয়ালদহ কেন্দ্র থেকে বেশ কয়েক বার বিধায়ক হয়েছিলেন। ২০০৭-’০৮ সালে কংগ্রেস ছেড়ে প্রথমে প্রগতিশীল ইন্দিরা কংগ্রেস গঠন করেন সোমেনবাবু। তার পরে যোগ দেন তৃণমূলে। ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের সাংসদ হয়েছিলেন ২০০৯ সালে। আবার ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেসে ফিরে আসেন তিনি।

নয়ের দশকে তৎকালীন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রর সঙ্গে কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচনে লড়াইয়ের পরেই দল ছেড়েছিলেন তৎকালীন যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে নির্বাচনে বিপর্যয়ের দায় নিয়ে সোমেনবাবু প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন ১৯৯৮ সালে। ফের তিনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদে ফেরেন কুড়ি বছর পরে, ২০১৮-র সেপ্টেম্বরে। তাঁর মৃত্যুতে কংগ্রেস রাজনীতিতে একটি অধ্যায়ের অবসান হল।

আরও পড়ুন: অক্সিজেন কেনার হিড়িক, জোগানে সমস্যার আশঙ্কা

আরও পড়ুন: বাবুলের বাংলোয় মধ্যাহ্নভোজে আধ ডজন সাংসদ, দিলীপ ‘জানতেনই না’

দক্ষিণ কলকাতার নার্সিং হোমে থাকাকালীন সোমেনবাবুর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজখবর করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত রবিবার ফোন করে সোমেনবাবুর স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে ফুল পাঠিয়ে তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনাও করেন। সোমেনবাবুর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় ছিল লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরীরও। কংগ্রেস সূত্রের খবর, দলে এই দুই নেতার অনুগামীদের মধ্যে দূরত্ব থাকলেও সোমেনবাবুর স্বাস্থ্যের বিষয়ে যাবতীয় খোঁজখবর এবং পরিবারের সঙ্গে টানা যোগাযোগ রাখতেন অধীর চৌধুরী।

অন্য বিষয়গুলি:

Death Somen Mitra Congress PCC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy