সিবিআই দফতর থেকে পার্থের বেরিয়ে আসার মুহূর্ত। ফাইল চিত্র ।
প্রায় সাড়ে ৮ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর সিবিআইয়ের দফতর থেকে বেরিয়ে এলেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ নিজাম প্যালেসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরে হাজির হয়েছিলেন তিনি। তার পর থেকে লাগাতার চলে জিজ্ঞাসাবাদ। পার্থের সঙ্গে ছিলেন তাঁর আইনজীবীরাও।
সিবিআই দফতর থেকে মন্ত্রী বেরোতেই তাঁকে ঘিরে প্রশ্ন করা শুরু করেন নিজাম প্যালেসে থাকা সাংবাদিকেরা। যদিও কারও কোনও প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে সটান নিজের গাড়িতে উঠে পড়েন পার্থ। সূত্রের খবর, এ বার নিজের বাড়ির দিকেই রওনা হয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ডিভিশন বেঞ্চে সিবিআইয়ের হেফাজতের হাত থেকে বাঁচার জন্য রক্ষাকবচ চেয়ে আবেদনও করেছিলেন পার্থ। কিন্তু আদালত তাঁকে রক্ষাকবচ দেয়নি। এর পর তলব করা হলে সিবিআই দফতরে হাজিরাও দেন পার্থ। কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে পার্থের আবেদন খারিজ করার পর তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টেও তাঁর আবেদন ত্রুটিপূর্ণ জানিয়ে বাতিল করে দেওয়া হয়।
এসএসসি দুর্নীতি মামলা নিয়ে পার্থকে বুধবার আবারও তলব করে সিবিআই। সিবিআইয়ের তরফে পার্থকে বুধবার সকাল ১১টার মধ্যে নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদই পার্থ রওনা হয়ে যান তাঁর বাড়ি থেকে। সূত্রের খবর, এসএসসি-র উপদেষ্টা কমিটি কেন তৈরি করা হয়েছিল এবং এই কমিটিতে কার নিয়ন্ত্রণ ছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হতে পারে পার্থকে। সূত্র অনুযায়ী, গত বুধবারের জেরার সময় সিবিআইকে পার্থ জানিয়েছিলেন এই কমিটি তিনি গঠন করলেও এই কমিটির উপর তাঁর কোনও নিয়ন্ত্রণ ছিল না। কিন্তু তিনি তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও কেন এই কমিটি নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখেননি? পার্থকে সেই প্রশ্ন করা হতে পারে বলেও সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে। গত বুধবার পার্থকে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা ধরে জেরা করেছিল সিবিআই।এসএসসির নিয়োগে শান্তিপ্রসাদ সিন্হার নেতৃত্বাধীন কমিটিকে বেআইনি বলে ঘোষণা করেছিল কলকাতা হাই কোর্ট। সেই সময় শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন পার্থ। তিনিই এই কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই বিষয়েই জিজ্ঞসাবাদের জন্য পার্থকে সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী এবং পার্থকে মুখোমুখি বসিয়েও জেরা করা হতে পারে শীঘ্রই। এসএসসি-র একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে পরেশ-কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর। পরেশের মেয়ে অঙ্কিতাকে শিক্ষিকা হিসেবে অবৈধ ভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল, এই অভিযোগ উঠতেই পরেশকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। অঙ্কিতা চাকরি পাওয়ার আগে তাঁর বাবা ফরোয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। তাই মেয়ের চাকরি নিয়ে কারও সঙ্গে পরেশের কোনও বিশেষ চুক্তি হয়েছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিবিআইয়ের তরফে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই মন্ত্রী পার্থ, পরেশ এবং তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের আয়কর জমা দেওয়ার নথি আয়কর দফতরের কাছ থেকে চেয়ে পাঠিয়েছে সিবিআই। এর আগে তিন নেতার কাছ থেকে ওই নথি চাওয়া হয়েছিল। তাঁরা সেই নথি জমাও দিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, এই দুই নথি মিলিয়ে দেখার জন্যই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই পদক্ষেপ। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, পার্থ-পরেশ-অনুব্রতের আয়ের উৎসও জানতে চাইছে সিবিআই। তাঁদের আয় সংক্রান্ত নথিতে অসঙ্গতি রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখতে চাইছে সিবিআই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy