চৈত্রের গরম। সারা দিন কাজের পর বাড়ি ফিরে শোয়ার ঘরে এসি চালিয়ে সবে বসেছিলেন। কিছু ক্ষণ পর এসির দিক চোখ যেতেই দেখেন, মুখ থেকে বেরিয়ে আসছে একের পর এক সাপ! আতঙ্কে লাফ দিয়ে ঘরের এক কোণে চলে গিয়েছিলেন মালদহের উন্নয়ন বিভাগের অতিরিক্ত জেলাশাসক (এডিএম) অনিন্দ্য সরকার।
ইংরেজরাজারের মাধবনগর এলাকার বাংলোয় থাকেন অনিন্দ্য। মঙ্গলবার রাতের ওই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্কিত তিনি ও তাঁর পরিবার। সঙ্গে সঙ্গেই বন দফতরে খবর দিয়েছিলেন এডিএম। খবর পাওয়া মাত্রই বাংলোয় যান সাপ বিশারদ নিতাই হালদার। তিনিই অনিন্দ্যের শোয়ার ঘর থেকে মোট আটটি সাপ উদ্ধার করেছেন। নিতাই জানান, এই সাপগুলিকে ঘরচিতি সাপ বলে। এগুলি নির্বিষ। ঠান্ডা জায়গা পেলে এ ভাবেই বাসা বেঁধে থাকে এই সাপগুলি। নিতাই বলেন, ‘‘শীতে এসি চলেনি। তাই ওখানে বাধা বেঁধে প্রজনন ঘটিয়েছে।’’
কিন্তু সাপ বিষধর হোক বা না-হোক, সামনে চলে এলে আতঙ্ক তো হবেই! এডিএম বলেন, ‘‘চৈত্রের গরমে শোয়ার ঘরের এসিটা চালিয়েছিলাম। দেখি, কিলবিল করে একের পর এক সাপ বেরিয়ে আসছে। দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। এতগুলো সাপ কী ভাবে এসির মধ্যে ঢুকে পড়ল, বুঝতে পারছি না। যাই হোক, বন দফতরের সহযোগিতায় এক জন সাপ বিশারদ বাংলোতে এসে সাপগুলি উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছেন। সাপের বিষ আছে কি না জানা নেই। কিন্তু সাপ দেখে পরিবারের সকলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। নতুন করে বাংলো সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছি।’’