পার্থ চট্টোপাধ্যায়
বারাসত থেকে ঠাকুরপুকুর— আদালত থেকে থানা পুলিশ করেই সোমবার সারা দিন কাটল মুকুল রায়ের। তারই ফাঁকে ফাঁকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু তৃণমূলের অন্যান্য নেতা— সকলকেই আক্রমণ করলেন তিনি। অন্য দিকে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া, বিজেপি যে মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছে, তাদের কথাবার্তায় তা পরিষ্কার।
মুকুলের জামিন নিয়ে এ দিন এক প্রস্ত নাটক চলে বারাসত আদালতে। শুনানি শুরুর পরে জামিন পেয়ে চলে যান মুকুল। পরে সরকার পক্ষের আইনজীবীরা এলে তাঁকে ফের আদালতে আসতে হয়। সরকার পক্ষের আইনজীবীদের দাবি, তাঁদের অনুপস্থিতিতে মুকুল জামিন পেয়েছিলেন। সেই জামিন অবশ্য বহালই থাকে। মুকুল বলেন, ‘‘হাইকোর্ট আমাকে আগেই জামিন দিয়েছে। আমি তদন্তকারী অফিসারকে সহযোগিতা করব।’’ পাশাপাশি, তৃণমূল নেত্রীকে কটাক্ষ করে মুকুল বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়েছেন বলেই বিজেপি নেতাদের উপর পুলিশ দিয়ে হামলা করাচ্ছেন। আমাদের নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা হচ্ছে। তবে চিন্তার কিছু নেই। কারণ, বিধানসভা ভোটের পর তৃণমূল দলটিই আর থাকবে না।’’
রেলের একটি কমিটির সদস্যপদ পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে এ দিন কলকাতা পুলিশের ঠাকুরপুকুর থানায় অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারের অফিসেও হাজিরা দিতে হয় মুকুলকে। সেখানে ঢোকার সময়ে তিনি বলেন, ‘‘তদন্তকারী সংস্থা ডাকলে আমি পালাই না। রেলের সদস্যপদ টাকা দিয়ে পাওয়া যায় কি না, তা আমার জানা নেই। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৮ কোটি টাকার জন্য গ্রেফতার হবেন।’’ জিজ্ঞাসাবাদের পর বেরিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘‘রাজ্য সরকার আমার বিরুদ্ধে ২৪টা প্রতারণার মামলা দায়ের করেছে। এটা একটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।’’
বারাসত আদালতে এ দিন হাজিরা দিতে হয় বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহকেও। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে অর্জুনের অভিযোগ, ‘‘ভাটপাড়ার প্রায় ৭৮ কোটি টাকা আটকে রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রমিকদের উস্কে দিয়েছেন, যা নিয়ে অশান্তি হচ্ছে। সব কিছুতেই উনি ভয় দেখাচ্ছেন। যেখানে বিজেপির উত্থান হবে, সেই জায়গাকেই ভাটপাড়া করে দেবে তৃণমূল।’’
তৃণমূল অবশ্য অর্জুনের বক্তব্যের কোনও জবাব দেওয়ার ‘প্রয়োজন’ আছে বলেই মনে করে না। তবে মুকুলের অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিজেপি যত ভারসাম্যহীন কথা বলে, ততই বোঝা যায় তৃণমূল ঠিক পথে চলছে। বিজেপি নেতারা দেখছেন, মাঝারি নেতাদের বিরুদ্ধে বলে লাভ হচ্ছে না। তাই মমতাকেই কুকথা বলে সংবাদমাধ্যমে ভেসে থাকতে হবে। মুকুলবাবু ভালই জানেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৮ পয়সা নেওয়ারও মানুষ নন। তৃণমূলে থেকে খেয়েদেয়ে লুটেপুটে বিজেপিতে গিয়ে প্রচারে থাকতে এই সব কুৎসার আশ্রয় নিচ্ছেন ওঁরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy