(বাঁ দিকে) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (ডান দিকে)। ছবি: পিটিআই ।
লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ২৯টি আসন জিতেছে তৃণমূল। বিজেপি জিতেছে ১২টি আসনে। পাশাপাশি তৃতীয় বার ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। কেমন লাগছে তাঁর? প্রশ্ন শুনে নিরুত্তরই রইলেন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সোমবার সকালে পার্থকে আলিপুর নগর দায়রা আদালতে হাজির করানো হয়। আদালতে ঢোকার মুখে পার্থকে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ফলাফল এবং তৃতীয় বারের জন্য মোদীর প্রধানমন্ত্রী হওয়া নিয়ে মতামত জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু পার্থকে সেই প্রসঙ্গে কিছুই বলতে শোনা যায়নি। চুপচাপ আদালতের লকআপে চলে যান তিনি।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ২০২২ সালের ২৩ জুলাই পার্থকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। এখন তিনি প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি। পার্থ গ্রেফতার হওয়ার পরেই তাঁর মন্ত্রিত্ব যায়। উল্লেখ্য, জেলে থাকলেও রাজ্য এবং দেশের রাজনীতি নিয়ে প্রতিনিয়ত খোঁজখবর রাখেন পার্থ। এর আগে তৃণমূল নিয়ে যে কোনও প্রশ্নের উত্তরে সব সময় ইতিবাচক ভঙ্গিতে জবাব দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। গত বছরের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও তৃণমূলের জয় নিয়ে এক প্রকার নিশ্চিতই ছিলেন তিনি। তবে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ফলাফল নিয়ে কোনও মন্তব্য করলেন না প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। মন্তব্য করলেন না মোদীর প্রধানমন্ত্রী হওয়া প্রসঙ্গেও।
২০০১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত টানা পাঁচ বার বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রের বিধায়ক। বামবিরোধী আন্দোলনে প্রথম থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে। দলে গুরুত্বও ছিল অসীম। কিন্তু তিনি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হন। অনতিবিলম্বে দলের সমস্ত পদ এবং মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারিত হন। ২০১৯-এর লোকসভা এবং ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের রণকৌশল তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন পার্থ। কিন্তু ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে তিনি ছিলেন না। তাঁর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে লোকসভা ভোট পরিচালনার যাবতীয় দায়িত্ব ছিল স্থানীয় কাউন্সিলরদের উপর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy